দৈনিক তালাশ.কমঃজামালপুর জেলা প্রতিনিধি:প্রায় ১যুগ ধরে বিনা বেতনে প্রতিবন্ধী ছেলে মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন এক দল শিক্ষক-শিক্ষিকা। দিচ্ছেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নানা সুযোগ সুবিধা। নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করেই দিচ্ছেন সেই সব সুযোগ সুবিধা। শিক্ষার মান আরো উন্নত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করনের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা।
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নে অবস্থিত এক মাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বালিয়া রফিক ফকির অটিষ্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে বালিয়া দিয়ার হাটখোলা এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম ফকির। প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকেই ৩২জন শিক্ষক-কর্মচারী বিনা বেতনে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ শতাধিক প্রতিবন্ধী ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করে। শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ার জন্য রয়েছে অটোগাড়ি। পড়াশুনার পাশাপাশি দেওয়া হয় নানা সুযোগ সুবিধা যেমন- বই, খাতা, পোশাক, খাদ্যদ্রব্য এমনকি চিকিৎসা সেবা। লেখাপড়ার মান আরো উন্নত করতে প্রতিষ্ঠানটিকে এমপিও করনের জোর দাবি জানান বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ।
বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকরা জানান, ‘তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছেন। নিজের সংসার জীবন চালাতেই যেখানে হিমসিম সেখানে বিনা বেতনে আর কতদিন এভাবে চলতে হবে। তারা খুব দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করার জন্য দাবি জানান সরকারের নিকট।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাছুদুল হাসান রানা বলেন, ১২বছর ধরে এই সব ছেলে মেয়েদের শিক্ষা দিচ্ছি। নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে তাদের পড়াশুনার খরচ দিচ্ছি আমরা। প্রতিবন্ধী এসব শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মান আরো উন্নত করতে প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত করলে অনেক সুবিধা হবে। সরকারের কাছে আমাদের জোরালো আবেদন শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার সুযোগ করে দিলে শিক্ষার মান আরো উন্নত হবে।
এ-বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মিজানুর রহমান মিলন ফকির বলেন, ‘সুনামের সাথে ২০১২সাল থেকে বিদ্যালয়টি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। তবে বড় দুঃখের বিষয়, বিদ্যালয়টি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পরিদর্শন করেছেন কয়েকবার, এখনও কোন আশ্বাস মেলেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জোরালো আবেদন উক্ত প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করলে শিক্ষার মান আরো উন্নত করা সম্ভব হবে।
জামালপুর জেলা প্রতিনিধি
কামরুজ্জামান লিটন