দৈনিক তালাশ.কমঃনওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃনওগাঁ ১১টি উপজেলা সহ সারাদেশে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আসন্ন। এ উপলক্ষে
নওগাঁর মহাদেবপুর বদলগাছী পত্নীতলা ধামুরহাট শাপাহার পোরশা নিয়ামেতপুর মান্দা নওগাঁ রানীনগর আত্রায় উপজেলা উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরগুলোতে শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী শ্রীগীরেন মালাকর ধীরেন মালাকর সহ আরও অনেক শিল্পীরা। এবার সকল উপজেলার পূজা মন্দিরের কমিটি সহ প্রশাসনের কঠোর ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই উৎস শান্তিপূনভাবে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমা তৈরিতে কারিগরের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা,এ বছর ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দেবীপক্ষ ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা, আগামী ২৪ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গো উৎসব সমাপ্ত ঘটবে।এদিকে, এ উৎসবকে ঘিরে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে মন্ডপ গুলো তে চলছে জোর প্রস্তুতি, এখন শারদীয় মেতে ওঠার অপেক্ষায় সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষেরা, আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা শিল্পীরা কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপদিতে রাতভর করছেন প্রতিমা তৈরির কাজ,নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তৈরি করছেন প্রতিমা। পূজার সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। মহাদেবপুর উপজেলার ৯ নং চেরাগপুর ইউনিয়নে বাগধানা নলবল ধুনজইল রাবনা-মধুপুর শরিফপুর সরস্বতীপির বাজার ১০ নং ভীমপুর ইউনিয়নের চকগৌরী হাট বাজার এলাকায় খোদ্দনারায়নপুর পালপাড়া ঋষিপাড়া বলিহার রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন মন্ডপে গিয়ে দেখা যায়, মন্ডপে মন্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি, প্রথম পর্যায়ে প্রস্তুতি হিসেবে মন্ডপ গুলোতে দুর্গা প্রতিমার মাটির কাজ শুরু করেছে শেষ পর্যায়ে মূর্তিতে রং-তুলির আঁচড়ের কাজ চলছে প্রতিমা তৈরি কাজ দেখতে বিভিন্ন মন্ডপে শিশুকিশোরদের ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে,উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমা শিল্পীরা প্রতিমা তৈরীর কাজে গভীর মনোনিবেশ করেছেন, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা দেবী মূর্তি তৈরী করছেন। ইতিমধ্যে মন্দিরগুলোর কাঠামে খড় ও মাটি দিয়ে পরম যত্নে প্রতিমা শিল্পীরা গড়ছেন প্রতিমা কয়েক জন মৃতশিল্পীরা জাানান,প্রতিমা তৈরিতে দুর দুর্দান্ত থেকে মাটি সংগ্রহ করে দো-আঁশ মাটির কাজ করা হবে। আর এসব প্রতিমা তৈরীতে আমাদের দম ফেলার ফুসরত নেই। দেবী মা দুর্গা তার সাথে বিদ্যার দেবী স্বরসতী, ধন সম্পদের দেবী লক্ষী এবং দেব সেনাপতি কার্তিক ও গনেশসহ নানা দেব-দেবীর প্রতিমার রূপকে ফুটিয়ে তুলবো নিপুন হাতের ছোঁয়ায়।সেই সাথে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এ বাজারে পরিশ্রমের পর প্রতিমা তৈরি করে যে মজুরি পাই তা দিয়ে জীবন যাপন করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। অনেকেই এ পেশা ছেড়ে চলে গেছে। নানা সংকটের মধ্যে টিকে থাকা কষ্টকর। তাই প্রতিমা তৈরিরপাশাপাশি অনেকের অন্য পেশার কাজ করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উজ্জ্বল কুমার সরকার
তারিখ ২৭/৯/২৩
নওগাঁ।