দৈনিক তালাশ.কমঃ বিদেশ প্রেরণের প্রলোভন দেখিয়ে পাসপোর্ট জিম্মি করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতা ফরিদুল আলম শিকদার’কে চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মের্সাস আকবর ইন্টারন্যাশনাল নামীয় একটি এজেন্সি চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় কম খরচে সার্বিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, জর্ডানে জরুরীভাবে দক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিক নেওয়া হচ্ছে মর্মে লিফলেট বিতরণ করে। পরবর্তীতে গার্মেন্টস কর্মীরা তাদের লিফলেট দেখে প্রলোব্ধ হয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করিলে প্রতরাক চক্রটি সাধারণ গার্মেন্টস কর্মীদের বিদেশ প্রেরণের নাম করে ভূয়া মেডিকেল পরীক্ষা করত তাদের পাসপোর্ট জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে উক্ত এজেন্সিটি ভুক্তভোগীদের বিদেশ প্রেরণ না করে তাদের স্থয়ী অফিসটি বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায়। ভুক্তভোগীরা প্রতারক চক্রটিকে যাতে সহজে খুজে না পায় সেজন্য চক্রটি তাদের ঠিকানায় অবস্থান না করে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করত। পরর্বতীতে ভুক্তভোগীরা উক্ত প্রতারক চক্রের বিষয়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন মানুষদের বিদেশ প্রেরণের নামে প্রতারণা করে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রটিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক নজরদারী অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত প্রতারক চক্রের মূলহোতা ফরিদুল আলম শিকদার চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট এলাকার অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখ সময় আনুমানিক ২২০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালান করে আসামী ফরিদুল আলম শিকদার (৬০), পিতা-মোজাফফর আহমেদ শিকদার, সাং-হাজীরঘোনা, থানা-পেকুয়া, জেলা- কক্সবাজার’কে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে, উপরোক্ত প্রতারনার কথা নিজ মুখে অকপটে স্বীকার এবং বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জানায়। উক্ত আসামীর নিজ স্বীকারোক্তি মতে, চক্রটি বিভিন্ন ভুক্তভোগীর প্রায় ২২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।