দৈনিক তালাশ.কমঃ ধামইরহাট থানাধীন জাহানপুর গ্রাম হতে স্থানীয়দের সহায়তায় ধামইরহাট থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ) হারুন অর রশিদ এর তৎপরতায় ভূয়া ডিবি পুলিশের পরিচয় ধারী একজন ব্যক্তিকে আটক পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক জেল হাজতে করা হয়।
ভূয়া পুলিশ কীভাবে এদের চিনবেন :
একটু ভালমতো বুদ্ধি খাটিয়ে এই চক্রের সদস্যদের পর্যবেক্ষণ করলে সহজেই এদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
১। ব্যবহৃত ওয়াকিটকি চালু আছে কিনা লক্ষ্য করুন। ভুয়া পুলিশ সদস্যদের ওয়াকিটকি কখনও চালু থাকে না এবং কোন শব্দও পাওয়া যায় না। কারণ সেটি খেলনা ওয়াকিটকি।
২। সাদা পোশাকে পুলিশ কোন অভিযান পরিচালনা করলে অবশ্যই গায়ে জ্যাকেট পরিধান করে ও গলায় পরিচয়পত্র ঝুলানো থাকে। কিন্তু ভুয়া পুলিশ সদস্যরা অধিকাংশ সময় কোন ধরনের জ্যাকেট বা পরিচয়পত্র সাথে রাখে না।
৩। ভুয়া পুলিশ চক্র সবসময় খেলনা পিস্তল ব্যবহার করে, তারা কখনোই লং আর্মস: যেমন শর্টগান বা এসএমজি সাথে রাখেনা।
৪। গতিবিধি ও আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন। ভুয়া পুলিশ সদস্যরা বাসায় ঢুকেই টাকা, অলঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল নেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের আচরণে উগ্রতা ও রুক্ষভাব পরিলক্ষিত হয়।
৫। এই চক্রের সদস্যদের পারস্পারিক কথোপকথন পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করুন। এরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং চোর ডাকাতের মতো আচরণ করতে থাকে।
ভুয়া পুলিশ দেখলে করণীয় :
আপনার নিজের নিরাপত্তা ও এসব প্রতারণাকারী চক্রের হাত থেকে রেহাই পেতে সবসময় নিজের বুদ্ধি-বিবেক ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা প্রয়োগ করুন। এ ধরনের ঝামেলায় পড়লে বা মুখোমুখি হলে কৌশলে নিকটস্থ থানা বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করুন। যদি শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায় যে এরা ভুয়া পুলিশ সদস্য এবং ব্যবহৃত অস্ত্রটিও খেলনা তাহলে সাথে সাথে সাহসিকতার সাথে তাদেরকে প্রতিহত করুন ও পুলিশকে খবর দিন এবং আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারকে অবহিত করুন।