দৈনিক তালাশ.কমঃ বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।শামীম ওসমান বলেন, এই দেশে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে ২১ বার মারার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৬ জুন তো আমরা মারাই গিয়েছিলাম। ইদানিং জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে মারার জন্য আবারও একটি গোষ্ঠী উঠে পড়ে লেগেছে। এমন শেখ হাসিনার ছেলে জয়কেও বিদেশে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। বাংলাদেশে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। যারা এই জিঘাংসার রাজনীতি করে তাদের গণতান্ত্রিক দল বলা যায় না। তাদেরকে বলতে হয় সন্ত্রাসী সংগঠন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, জীবনের প্রথম আমি একা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে এসেছি। অন্যান্য সময় আমার সঙ্গে নেতাকর্মীরা থাকলেও আজ কাউকে জানাইনি। সেজন্য আমি নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, উনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন, তা আমি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি। তার ছেলের সচিব এই মনোনয়নপত্র নেন। যার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এখানে রয়েছে। যখন তার সব দরজা বন্ধ হয়ে গেছে তখন তিনি বলছেন তিনি মনোনয়নপত্র কিনেন নাই। তিনি যদি সত্যি মনোনয়নপত্র না কিনে থাকেন তাহলে এর ফলে নির্বাচন কমিশন বিতর্কিত হচ্ছে। পাশাপাশি তারা বুঝাবে আমরাই হয়তো তাদের মনোনয়নপত্র কিনেছি। যে লোক তার মনোনয়নপত্র কিনেছে সে যদি সত্যি তার অনুমতি না নিয়ে থাকে তাহলে এটা আসলেই এক বড় অপরাধ। তাহলে প্রশাসনের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে ডাকিয়ে জিজ্ঞাসা করা উচিত কেনো সে এই কাজ করেছে। আর যদি তিনি সত্যি মনোনয়নপত্র উঠিয়ে থাকেন তাহলে হয়তো দল থেকে শাস্তির ভয়ে এখন এই বিষয় অস্বীকার করছেন।