আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন সংবাদমাদ্যমকে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র গতিবেগ আগের থেকে বেড়েছে। বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে। আজ সন্ধ্যা নাগাদ এটি পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছে দিয়ে মোংলা ও পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় উপকূলীয় জেলা, অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫ হাজার ৬০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব এলাকায় প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।গতকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতি বেড়েছে, সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আর এতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকূলের বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোতে। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে মাইকিং। যদিও স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে বহু মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।
বর্তমানে দেশের চার সমুদ্রবন্দরের মধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে অ্যালার্ট ৩ জারি করা হয়েছে। একইসাথে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব ধরণের পণ্য উঠানামা। বন্দরে অবস্থানরত সব বিদেশি জাহাজের শ্রমিক-কর্মচারীদেরও নামিয়ে আনা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে।সেই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত ২২টি জাহাজকে গভীর সমুদ্রে চলে যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আর মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ১৫টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।অন্যদিকে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌপথে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত সারা দেশের নদীপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। এসময় সকল নৌযানকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে আবারও অনুরোধ করেন ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন