দৈনিক তালাশ.কমঃনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আহাদ বাবু নামে ৫ বছরের শিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে নদীতে ফেলে হত্যার অভিযোগে করা মামলার রায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
একই মামলায় আদালত আরেকটি ধারায় ওই যুবককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া আরও একটি ধারায় তাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল একটি মামলায় পৃথক তিনটি ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আদালত থেকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত নাজমুল হুদা লিয়ন (২৮) গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী ভেলপোপা এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে। তিনি ফতুল্লার ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার আবুল হোসেনের ভাড়াটিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ (রকিব) চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মজিদের বাসায় লিয়ন টিভি দেখতে গিয়ে তার ছেলে আহাদ বাবুকে অপহরণ করে মুন্সীগঞ্জে চলে যায়। ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯ থেকে সাড়ে ৯টার দিকে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে মোক্তারপুর ব্রিজ থেকে আহাদ বাবুকে ফেলে দেয়। বিষয়টি আন্দাজ করতে পেরে প্রত্যক্ষদর্শীরা গিয়ে লিয়নকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা থেকে ফোন করে জানানো হয় আহাদ বাবুকে নদীতে ফেলে দিয়েছে লিয়ন।
এ ঘটনায় নাজমুল হুদা লিয়নকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করা হয়। আদালত সেই মামলায় বিচার কার্যক্রম শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন।