দৈনিক তালাশ.কমঃ জীবন আহম্মেদ:বিশ্ব মানবকল্যাণ ট্রাস্ট মানব সেবার উদ্দেশ্যে গঠিত সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি ট্রাস্ট। যা সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে মানবকল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি মানবতায় বিশ্বাসী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ক্ষুধার্তকে খাদ্যে, অসুস্থদের চিকিৎসায়, কর্মহীন মানুষকে কাজের, শিক্ষা থেকে বঞ্চিতকে শিক্ষায়, বিপদাপন্ন ব্যাক্তিকে বিপদ থেকে উদ্ধারে সহযোগিতা করা ইত্যাদি। বিশ্ব মানবকল্যাণ ট্রাস্ট বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরে নিয়ে আসার পরিকন্পনা প্রণয়নে এবং বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ট্রাস্ট বগুড়ায় ১৫০ বিঘা জমির উপর নির্মিত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাকে আরও বিস্তৃতির পরিকন্পনা করেছে, যেখান থেকে বঞ্চিতরা আরও অধিক সুবিধা পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। অল্প সময়ের মধ্যে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র ও একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পরিকন্পনাও আছে, এছাড়া অন্যান্য পরিকন্পনা আলোচনা পর্যায়ে আছে। আমাদের সকল কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্যেই হলো যতদূর সম্ভব সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তির সার্বজনীন দৃঢ় প্রতিষ্ঠাকরন।
যুদ্ধ কারো কখনোই কল্যাণ বয়ে আনেনা জানলেও, আমরা শান্তির প্রচারণায় হীনম্মন্যতায় ভোগী। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের গাজায় অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধের কারনে শান্তিকামী সাধারণ মানুষের জীবনের উপর নেমে এসেছে এক অসহনীয় শ্বাসরূদ্ধকর পরিণতি। যার প্রভাব পড়েছে নিঃসন্দেহে যুদ্ধে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের উপর এমনকি বিশ্বের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। যেখানে নেই খাদ্য, নেই পানি, নেই বিদ্যুৎ, নেই চিকিৎসা, নেই নিরাপত্তা—শুধু নেই আর নেই। চারিদিকে শুধুই হাহাকার।
এসব আমাদেরই সৃষ্টি , আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে। আমাদের সকলের হৃদয়ে একটি কথা ধারন করতে হবে , যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই, মিলেমিশে থাকতে চাই।
আমরা অবিলম্বে এই অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ বন্ধের আহবান জানাচ্ছি এবং সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় পানীয় জল,খাদ্য, চিকিৎসাসহ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কামনা করছি। এই উদ্দেশ্যের সফল বাস্তবায়নে বিশ্বের সকল শ্রেণীর শান্তিকামী মানুষের পক্ষ থেকে সহযোগিতা চাই এবং সহযোগিতা করতেও চাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা সামগ্রী এবং অন্যান্য ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। আমরা উনার কার্যক্রমের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে, উনার অনুমতি সাপেক্ষে আমাদের সামর্থের মধ্যে যতটুকু সম্ভব উনার কাছে পৌঁছে দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করছি। উপস্থিত সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা। সকলেই শান্তিতে থাকুন। আগামীতে আবারও আপনাদের সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করে আমার বক্তব্য শেষ করছি।
জয় মানবকল্যাণ জয় বিশ্বকল্যাণ জয় হোক বিশ্বের আনাচে-কানাচে অবরুদ্ধ ও বিপন্ন মানুষের।
(কে এম খালেদ)
চেয়ারম্যান
বিশ্ব মানবকল্যাণ ট্রাস্ট
তারিখ: ২৩-অক্টোবর-২০২৩