ইসিতে ৬ দফা প্রস্তাবনা দেবে জাতীয় জোট

দৈনিক তালাশ.কমঃদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে ৬ দফা প্রস্তাবনা দেবে জাতীয় জোট। আগামী ৪ অক্টোবর বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাথে দেখা করে উক্ত ৬ দফা প্রস্তাবনা দেবেন জাতীয় জোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেনের নেতৃত্বে জোটের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে থাকবেন জাতীয় জোটের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পিপলস্ পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল বাদল, জোটের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ গ্রীন পার্টির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মনছুর আহমেদ, জোটের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বেকার সমাজের সভাপতি মোঃ হাসান, জোটের কো-চেয়ারম্যান ও গণঅধিকার পার্টির চেয়ারম্যান সরদার আব্দুস সাত্তার, জোটের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সৎ-সংগ্রামী ভোটার পার্টির চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন বিজ্ঞানী প্রমুখ।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ৬টি রাজনৈতিক দল নিয়ে ”জাতীয় জোট” ঘোষণা করা হয়। জোটের শরীক দলগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণঅধিকার পার্টি-পিআরপি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ-বাবেস, বাংলাদেশ পিপলস্ পার্টি, বাংলাদেশ গ্রীন পার্টি ও বাংলাদেশ সৎ-সংগ্রামী ভোটার পার্টি। জোট ঘোষণাকালে উক্ত ৬ দফা প্রস্তাবনা সাংবাদিকদের সামনে পেশ করা হয়। এবার নির্বাচন কমিশন বরাবর উক্ত ৬ দফা পেশ করা হবে মর্মে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম।

নির্বাচন কমিশনে ৬ দফা দাবী প্রদানকালে জাতীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম, জোটের সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ পিপলস্ পার্টির মহাসচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম সুমন, জোটের সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ গ্রীন পার্টির মহাসচিব মোস্তাকিম হোসাইন, জোটের সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ বেকার সমাজের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী, জোটের সমন্বয়কারী ও গণঅধিকার পার্টির মহাসচিব ডঃ শরীফ সাকী প্রমুখ নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত থাকবেন।

উল্লেখ্য ৬ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে (১) ডিসিদের পরিবর্তে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ এবং সব ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা (২) নির্বাচনে সকল প্রকার প্রচারণা করতে হবে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনা অনুসারে (৩) প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত মুদ্রণ ফি গ্রহনপূর্বক নির্বাচন কমিশন সকল প্রার্থীর নাম ও ছবি সম্বলিত পোস্টার মুদ্রন করে প্রার্থীদের মধ্যে সমসংখ্যক পোস্টার বিতরণ করবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে প্রার্থীরা উক্ত পোস্টার প্রদর্শন করবেন। তবে প্রার্থীগণ নিজ উদ্যোগে মাইকিং ও হাতে হাতে প্রচারপত্র বিতরণ করতে পারবেন (৪) নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য প্রত্যেক নির্বাচন কেন্দ্রে একটি অস্থায়ী মনিটরিং কমিটি নিয়োজিত রাখা (৫) নির্বাচনের দিন নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ ছুটি ঘোষণা করা এবং সকল প্রকার অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। ভোট চলাকালিন সময়ে দলীয় ক্যাম্প স্থাপন, পরিচালনা, ভোটারবাহী পরিবহন ও জনসমাগম নিষিদ্ধ করা এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখা এবং (৬) নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অনুমোদিত বা নিবন্ধিত দেশী ও বিদেশী পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং গণমাধ্যমকর্মীদেরকে অবাধ সুযোগ প্রদান করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *