সরিষাবাড়ীতে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে ভাংচুর ও প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত

দৈনিক তালাশ.কমঃ জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়াসহ হামলা চালিয়ে অফিসকক্ষে ভাংচুর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাঁশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য হারুন অর রশিদ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাঁশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আন্জুয়ারা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, বাঁশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য যুবলীগ নেতা হারুন মিয়া বৃহস্পতিবার দুপুরে দলবল নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আসেন। পরে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের ৯ম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর ছাড়পত্র ও প্রত্যায়নপত্র পেতে প্রধান শিক্ষককে চাপ দেন হারুন মিয়া। প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীর ছাড়পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও হারুন মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে অভিভাবক সদস্য হারুন মিয়া প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে তিনি ও তার লোকজন বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে পুলিশ।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আন্জুয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, অভিভাবক সদস্য হারুন মিয়া বিদ্যালয়ে ঢুকে এক শিক্ষার্থীর ছাড়পত্র চায়। ছাড়পত্র দিতে অস্বীকার করলে তিনি অফিসকক্ষে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করেন। পরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নাছির উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এটি কোনো ভাবেই কাম্য নয়। বিষয়টি বিদ্যালয়ে বসে দুই পক্ষকে নিয়ে মিটিয়ে ফেলা হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অভিভাবক সদস্য হারুন মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষককের আচরণ ভালো না। তার উপর রাগ করেই অফিসকক্ষের টেবিলের কাঁচ ভাঙা হয়েছে।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, খবর পেয়ে বাঁশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাননি বলেও জানান তিনি।

কামরুজ্জামান লিটন
জামালপুর জেলা প্রতিনিধি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *