দৈনিক তালাশ.কমঃসারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেরও চারটি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে তিনটি সংগঠন
রোববার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স , ডিস্ট্রিবিউটার্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে এ ধর্মঘট কর্মসূচী পালন করছে। ফলে জেলা সদরের ফতুল্লা এবং সিদ্ধিরগঞ্জে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার মোট চারটি ডিপো থেকে সব ধরণের জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছে এই তিনটি সংগঠন।
সংগঠনগুলোর নেতারা জানায়, জ্বালানী তেল বিক্রয়ের ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট হওয়ায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ এবং ট্যাংকলরীর ইকোনোমিক লাইফ ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে নির্ধারণ করে পৃথকভাবে গেজেট প্রকাশ করতে তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে তিন দফা দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সরকার দাবি মেনে না নেয়ায় তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে জ্বালানি তেলের চারটি ডিপো থেকে প্রতিদিন এক হাজারের অধিক যানবাহনের মাধ্যমে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় তেল সরবরাহ হয়ে থাকে। ডিপোগুলো থেকে ৬৫০ লরি পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, কেরাসিন ও ফার্নিস অয়েল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে অবস্থিত দুইটি ডিপো থেকে বিমানে ব্যবহৃত ১৫০ গাড়ি জেট ফুয়েল প্রতিদিন সরবরাহ করা হয়। তিন সংগঠনের ধর্মঘটের কারণে নারায়ণগঞ্জের ডিপোগুলো থেকে সব ধরণের জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে ট্যাংকলরী ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের গোদনাইল মেঘনা শাখার সভাপতি আশরাফ উদ্দিন জানান, তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারা বাংলাদেশে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আজকের দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গোদনাইল মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা বিকল্প পথে তেল সরবরাহ চালু রাখার চেষ্টা করছি।’
এদিকে পদ্মা ডিপোর সিনিয়র কর্মকর্তা ফজলে এলাহী চৌধুরী জানান, বিমানের জ্বালানি তেল বিমানবন্দরে মজুদ আছে। মজুদ থাকা তেল আগামী দশদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।