দৈনিক তালাশ.কমঃ নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মুরাদ হোসেন (১১) নামে এক শিশু সন্তান কে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী শিশুটির সৎমা অঞ্জনা বেগম (২৮) কে ঢাকা শহর থেকে আটক করেছে নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীকে রবিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগাড়ে পাঠিয়েছেন পুলিশ।শনিবার বিকালে ঢাকা সাভারের আশুলিয়া এলাকার হাকিম মার্কেট এর জনৈক বশির মিয়ার বাড়ী থেকে পলাতক থাকা আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক নওগাঁতে নিয়ে আসেন পুলিশ।গ্রেফতারকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামী অঞ্জনা বেগম হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিল করিল্যা গ্রামের আঃ রাজ্জাকের দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে সে বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা এলাকার রতন আলী খান নামে এক যুবককে বিয়ে করে আত্মগোপন করে ঘড় সংসার করছিলেন।থানা সূত্রে জানা যায়, শিশু মুরাদ হত্যা কান্ডের মূল আসামী অঞ্জনা বেগম রাজ্জাকের ২য়’ স্ত্রী। রাজ্জাকের প্রথম স্ত্রী রাজ্জাক এর সংসার ও সন্তান ছেরে অন্যের হাত ধরে চলে যাবার পর রাজ্জাক তাকে ২য় বিয়ে করে ঘর সংসার করার এক পর্যায়ে প্রথম পক্ষের শিশু সন্তান মুরাদ সৎ মায়ের কাছে জীবনের কাল হয়। এরপর ২০১৭ সালের ১১ জনু সৎমা অঞ্জনার হাতে নিষ্পাপ শিশু মুরাদ নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হোন। তাকে হত্যার পর প্লাস্টিকের ”পোল্টি মুরগীর খাবারের” বস্তায় ভরে বাড়ি থেকে অনুমান ১৫০ ফিট দূরে নিয়ে বস্তা বন্দি অবস্থায় শিশু মুরাদ এর মৃতদেহ ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে সে সময় মান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই অভিযুক্ত অঞ্জনা ঝিনাইদহ শৈলকুপার এলাকার রতন নামে এক যুবককে গোপনে বিয়ে করে আত্মগোপনে ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় বিজ্ঞ আদালত তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রায় দেন।সত্যতা নিশ্চিত করে এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামীর অবস্থান সনাক্ত করনের পরই জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এর নির্দেশনায় মান্দা থানার এস আই নান্নু মিয়ার নের্তৃত্বে চৌকস টিমকে ঢাকাতে পাঠানো হয়। চৌকস টিম ঢাকা সভারের আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার পূর্বক অঞ্জনাকে নওগাঁতে আনার পরই রবিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগাড়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
উজ্জ্বল কুমার সরকার
নওগাঁ।