দৈনিক তালাশ.কমঃ ১.বাংলাদেশ আমার অহংকার,এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ রানা হোসেন (৩০) একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। বর্ণিত আসামী গত ১৩ মে, ২০১৩ ইং সালে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিলসহ ফরিদপুর জেলার কোতয়ালি থানা এলাকা হতে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে আসামীর বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালি মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়। অন্য দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালত গত ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ আসামী মোঃ রানা হোসেন (৩০)কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ (বিশ) হাজার টাকা জরিমানা পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ রানা হোসেন (৩০) কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৬, যশোর এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর এর একটি আভিযানিক দল ২৬ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ রাতে যশোর জেলার শার্শা থানাধীন নাভারন ব্রুজবাগান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত মাদক কারবারি মোঃ রানা হোসেন (৩০), পিতা- মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং- মাটিপুকুর, থানা-শার্শা, জেলা-যশোর’কে গ্রেফতার করে। আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক জানা যায় যে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য সে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে থাকতো।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যশোর জেলার শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।