দৈনিক তালাশ.কমঃ ১৯ আগস্ট শনিবার রাত ৯ টায় ১৩ নং ওয়ার্ডের তালা ফ্যাক্টরির মোড় এবং ঈদগাহ মাঠের সামনে এ তান্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা।
আহতদের নগরীরর ৩০০ শয্যা খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে মাসদাইরের বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে,কিশোর গ্যাং লিডার আলামিন,হাবিব,নেছার,হিরা,মানিক,ইমরান,মোহন,আসাদ আলী,রাজন,আরিফ,তুষার,ওমিয়,সহ সন্ত্রাসী বাহিনী
ও সাব্বির গ্রুপের লোকজন প্রতি পক্ষকে না পেয়ে সড়কে মহড়া দিয়ে চলে যাওয়ার সময় তালা ফ্যাক্টরির সামনে ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিস ও বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে তারা। এদিকে মহড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় ইদগাহ মাঠের সামনে গেলে সেখানে একটি রেস্টুরেন্টে দাওয়াতে আসা রূপগঞ্জের এক পুলিশ সদস্য তাদের ভিডিও করেন। এ সময় সেই পুলিশ সদস্য ও পাশের এক মুদি দোকানীকে কুপিয়ে যখম করে সন্ত্রাসীরা। এর আগের মাসদাইর কেন্দ্রী শ্মশানে এই সন্ত্রাসী গ্রুপটি হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও এক ডোমকে মারধর করেছে।
এবিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, এ ঘটনা কারা জড়িত তা আমরা এখনো জানিনা। আমাদের পুলিশ সেখানে গিয়েছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় পুলিশসহ আরো একজন আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
মাসদাইরে কিশোর গ্যাং সদস্যদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ, থানায় অভিযোগ হলেও খুঁজে পায় না পুলিশ
মাসদাইরে ইয়াবা,গাঁজা, হিরন, ফেনসিডিল বানিজ্য এবং ঘরে ঘরে মাদক। ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী কিশোর গ্যাং লিডার ছাঈদ। সে ঐ এলাকার মনির হোসেনের ছেলে। গত ১৭ তারিখ রাত ১১ টার সময় মাসদাইর পতেঙ্গার মোড় এলাকায় ফতুল্লা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী সাঈদের অন্যতম সহযোগী বাবুল মিয়ার বাড়ি থেকে একজনকে ১৫৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে মাদক ব্যবসায়ী সাঈদ ও তার অন্যতম সহযোগী কিশোর গ্যাং লিডার,ছিনতাইকারীদের গডফাদার সাবু। মাসদাইর পতেঙ্গার মোড় ও গুদারাঘাট এলাকায় সাঈদ, সাবু, রাকিব, কসাই শাওন, চশমা সাব্বির, তুষার সহ কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ জনগণ।
সূত্রে জানা যায়, এসকল কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার নাম বিক্রি করে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক স্পট,ছিনতাই,চাঁদাবাজি, লুটপাট, হত্যা সহ নানা অপকর্ম।এলাকার সাধারন মানুষ কিছু বলতে গেলে কিশোর গ্যাং এ-র সদস্যরা মানুষের বাড়ি ঘরে ভাংচুর, মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। তাদের কাছে রয়েছে দেশি-বিদেশী অস্ত্র, তাদের বিরুদ্ধে রয়েছেa চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, হত্যা, মাদক ব্যবসা সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ ও মামলা। তারা রাতের আধাঁরে ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি সহ নানা অপকর্ম।
মাসদাইর পতেঙ্গার মোড় এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার ও ফেনসিডিল ব্যবসায়ী সাঈদ ও সাবুর কিশোর গ্যাং এর সন্ত্রাসদের দিয়ে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই সহ নানা অপকর্ম করে বলে এলাকাবাসী জানায়। এলাকাবাসী আরো জানায়, কিছু হলেই দোকানপাট বাড়িঘর ভাংচুর, মানুষের উপরে হামলা সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে সাঈদ ও সাবু সহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে। কারণ একসময় ভাত খেতে ভাত পেতো না সাইদ ও সাবুরা অথচ আজকে তারাই মাদক ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছে তারা ও তাদের শেল্টার দাতারা। সেল্টার দাতাদের মধ্যে রয়েছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ১। মতিউর রহমান প্রধান ২। আতাউর রহমান প্রধান ৩। রাফেল প্রধান ৪। রাসেল প্রধান। তাদের নাম বিক্রি করে এই কিশোর গ্যাং এ-র সদস্যরা আধিপত্য বিস্তার করে চলছে। এসকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে ভয় পায় পুলিশ। এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষ জানায়, এই সন্ত্রাসীদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে কিছু প্রভাবশালীরা তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে থাকে। তার সাথে অত্র এলাকার সকল সন্ত্রাসীদের সাথে রয়েছে সুসম্পর্ক।
গত ১৪ এপ্রিল বেলা ১২ টার সময় মাসদাইর পাকাপুল এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং লিডার সাবু ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা মোঃ সুজন (৩৪) নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়ে, যার দ্বায়িত্ব দেয়া হয় এসআই হুমায়ূন কবিরকে। এ বিষয়ে কথা বললে সে জানায়, ফতুল্লা থানায় আমি একা কর্মকর্তা নেই। ঘটনা যা হবার তা হয়ে গেছে, এখন আসামীদের খুঁজে বের করতে হবে। অথচ সে কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। এলাকাবাসী জানায়, এনায়েত নগর ইউনিয়নের ফতুল্লা থানা মাসদাইরে সকল অপরাধীদের সহযোগীতা করে এই এসআই হুমায়ুন কবির।
এছাড়াও গত ৩১ মার্চ একটি মোবাইল বেচাকেনাকে কেন্দ্র্র করে অন্তত একশটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এব্যাপারে কিশোর গ্যাং লিডার মানিক, সাবু সহ ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সূর্য্য।