দৈনিক তালাশ.কমঃজাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দলীয় বরাদ্দকৃত চাউল চুরি করে বিক্রির অভিযোগ উঠছে কুতুবপুর ইউনিয়ন ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি ভিডিওতে এমন মন্তব্য করেছেন। একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জসিম উদ্দিন। তবে চাউল চুরির অভিযুক্ত আলাউদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন আহাম্মেদ কুতুবপুর ইউনিয়নের একাধিক স্পটে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে চাউল বরাদ্দ দেন। সেই সুবাদে পাগলা শাহীবাজার স্পটেও কয়েক বস্তা চাউলের বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কুতুবপুরের একাধিক দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকরে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী পালনে পাগলা শাহীবাজার স্পটে খিচুড়ি রান্না করার অন্যান্য জিনিসের প্রয়োজনে দলীয় বরাদ্দকৃত এক বস্তা চাউল দোকানে বিক্রি করা হয়। অনুষ্ঠান আয়োজনে অনেক টাকার প্রয়োজন, তাই কিছু টাকার অন্যান্য জিনিস কিনতে টাকার প্রয়োজনে এক বস্তা চাউল দোকানে বিক্রি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, আমি কি এক বস্তা চাউল চুরি করারমত লোক? আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রটাচ্ছে জসিম উদ্দিন। আমি আমার সিনিয়র নেতাদের কাছে জানিয়েছি। আমার দলের নেতারা যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে আমি সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে যাওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জসিম উদ্দিন বলছেন, ১৫ই আগস্টের এক বস্তা চাউল চুরি করে দোকানে বিক্রি করেছেন আলাউদ্দিন হাওলাদার। তার বিরুদ্ধে এমপি শামীম ওসমানের কাছে বিচার দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন জসিম উদ্দিন।
এ বিষয়টি নিয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ছে। শুধু তা-ই নয়, অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্যও করছেন। থানা আওয়ামী লীগের এক নেতা তার ফেসবুকে লিখেছেন, নিজেদের মধে কাদা ছুড়াছুড়ি ঠিক না, সামনে জাতীয় নির্বাচন। অন্যান্যরা বলছেন, তাদের দুইজনকে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন আহাম্মেদ ও কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জসিম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।