দৈনিক তালাশ.কমঃবন্দরে দুস্কৃতিকারীদের ছুরিকাঘাতে নৈশপ্রহরী জয়নাল উদ্দিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত রবিউল (২৮)কে ২ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৪ আগষ্ট) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় তাকে ফের আদালতে প্রেরণ করা হয়। রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামী রবিউল বন্দর উপজেলার পূর্ব ফুলহর এলাকার আনার হোসেন মিয়ার ছেলে। এর আগে গত বুধবার (২ আগষ্ট) বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত থেকে রিমান্ডে আনে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর থানার সোনাকান্দা এনায়েতনগর নামাপাড়াস্থ জনৈক রাসেল মিয়ার নির্মানাধীন ভবনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত নৈশ্য প্রহরী জয়নাল উদ্দিন উল্লেখিত এলাকার মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে।
জয়নাল হত্যাকান্ডের বিষয়ে মামলার বাদিনীর মা জানায়, গ্রেপ্তারকৃত রবিউলের সাথে আমার ছোট মেয়ের বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। অথচ রবিউলকে আমার স্বামী হত্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। রবিউল হত্যাকারি না। আমার স্বামী জয়নাল উদ্দিনের প্রকৃত হত্যাকারিকে চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনার প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, মামলার বাদিনী পিতা জয়নাল উদ্দিন সোনাকান্দা এনায়েতনগর নামাপাড়া এলাকার জনৈক সেলিম মিয়ার ছেলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক কর্মকর্তা রাসেল মিয়ার নির্মানাধীন ভবনে গত ১ বছর ধরে নৈশ্য প্রহরী কাজ করে আসছে। প্রতিদিনের ন্যায় গত শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেল ৫টায় জয়নাল উদ্দিন কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরবর্তিতে গত শনিবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টায় নির্মানাধীন ভবনে দায়িত্ব পালন কালে অজ্ঞাত নামা দুস্কৃতিকারি বাদিনী পিতাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রæত ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।