দৈনিক তালাশ.কমঃ বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
২। গত ২৮ জুলাই ২০১০ খ্রি. তারিখ বিকালে কুমিল্লা জেলার হোমনা থানাধীন বাগমারা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল করিম (৩৫)’কে আসামী মজনু মিয়া (৪০) ও কবির মিয়া তার নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। উক্ত ঘটনার চারদিন পরে ০২ আগস্ট ২০১০ খ্রি. তারিখ দুপুরে কুমিল্লা জেলার হোমনা থানাধীন বালুর মাঠের পশ্চিমে তিতাস নদী থেকে ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করে হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ০৫, তারিখ-০৩/০৮/২০১০খ্রি., ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। বর্ণিত মামলার রুজুর দীর্ঘ ১৩ বছর সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্ধেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামী মজনু মিয়া ও কবির মিয়া’কে বিজ্ঞ আদালত মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন এবং একই সাথে তাদের ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের সাজা প্রদান করেন।
৩। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতারের নিমিত্তে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর একটি আভিযানিক দল কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ০১ আগস্ট ২০২৩ খ্রি. তারিখ সকাল ০৮:৩০ ঘটিকায় র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর একটি আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মজনু মিয়া (৪০)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার হোমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।