জিমখানায় দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে পারিবারিক মাদক কারবার 

দৈনিক তালাশ.কমঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের নতুন জিমখানায় বছরের পর বছর ধরে চলছে পারিবারিক মাদক কারবার। অলিতে গলিতে দিন রাত থাকে মাদক কারবারিদের পায়চারি।শুধু নতুন জিমখানাই নয় আশপাশের এলাকতে ও মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে সেখানে বসবাসরত দু’টি পরিবার। পুলিশ বলছে, তাদেরকে একাধিবার গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে বেড়িয়ে ফের মাদক কারবার চালিয়ে যায়। আর প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয়দের উপর চালানো হয় হামলা।খোঁজ নিয়ে জানা যায়,জিমখানায় পারিবারিক ভাবে মাদক কারবার চালায় হাসি ও আলেক চাঁনের পরিবার।তারা তাদের ও স্ত্রী সন্তানকেও মাদক বিক্রিতে জড়িয়েছে।একজন গ্রেপ্তার হলে অপরজন তা চালিয়ে যায়।তাদের অধীনে মাদত বিক্রি করতে লোকও ভাড়া খাটে।যারা তাদের বিরুদ্ধে যায় তাদের উপর চালানো জুলুম নির্যাতন।পুলিশ জানায়,জিমখানার হাসিনা ওরফে হাসিও দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সাথে জড়িত। মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছে একাধিবার।তার বড় ছেলে টিটু টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকা প্রবেশ কালে ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হয়।তার কাছ থেকে পাওয়া যায় ২৬ হাজার পিছ ইয়াবা।গত বছরও ৫৮০ পিছ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকসহ সাতটি মামলা আছে। হাসির ছোট ছেলে মিঠুও মাদক কারবারে জড়িত। তার নামেও মাদকসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।পুলিশ আরও জানায়,একই এলাকার আরেব শীর্ষ মাদককারবারী আলেক চাঁন।তার স্ত্রীও চলতি মাসে মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়। তাদের স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে সদর থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।তাদের ছেলের নাম তানভীর। সেও মাদক কারবারে জড়িত কয়েক বছরে আগে থেকে। গ্রেপ্তার হয়েছে পুলিশের হাতে,এমনকি আলেক চানের বৃদ্ধ শাশুরি ও শ্যালককে মাদকসহ আটক করেছে পুলিশ।জিমখানার স্থানীয়রা বাসিন্দারা পারিবারিক এসব মাদক কারবারীরা তযদিন জেলে থাকে ততদিন তাদের লোকজনসহ অন্য স্বজনরা মাদক ব্যবসা চালায়। তারা জমিনে বেড়িয়ে ফের মাদক কারবারে চালিয়ে যায়। জিমখানাকে বলা যায় মাদক বেচা কেনার আখড়া।তবে যখনি পুলিশ তাদের আটক করতে যায় তার আগেই তারা পুলিশ আসার খোঁজ পেয়ে যায়।মাদকের স্পট গুলোর চারপাশে বসিয়ে রাখা হয়েছে পাহাড়াদারও।এমনকি পুলিশের সোর্স পরিচয়দারীদের সাথে তাদের সক্ষতা রয়েছে। এসব কারনে ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চায় না।কারণ যারাই আগে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে তাদেরকেই হামলার শিকার হতে হয়েছে পারিবারিক এই মাদক কারবারিদের উচ্ছেদ করা না হলে শহরের মাদক নির্মূল করা সম্ভব হবে না।বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান জানান,সেখানকার মাদক কারবারিরা বিভিন্ন কৌশলে মাদক বিক্রি করে।শহরের মাদক ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশ ওখানকার।তাদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যহত রেখেছে। এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *