দৈনিক তালাশ.কমঃ কুষ্টিয়ার-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক সংসদ্য দৌলতপুরে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ করে বক্তব্য দিচ্ছেন এমন অভিযোগ উঠেছে দৌলতপুর উপজেলা জুড়ে।
রেজাউল হক চৌধুরী বর্তমান দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক বিদ্রোহী এমপি।
রেজাউল হক চৌধুরী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী নির্বাচন করেন এবং তার ছোট ভাই টোকেন চৌধুরী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেন।
দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান এমপি আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বলেন, রেজাউল হক চৌধুরী প্রয়াত নেতা আজিজুর রহমান আক্কাস, প্রয়াত নেতা আফাজ উদ্দীন আহমেদ ও আমি বর্তমান এমপি আমাদের একদম আগা থেকে গুড়াপর্যন্ত ধুয়ে নিচে নামিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিভিন্ন গণসংযোগে বক্তব্য দিচ্ছেন তার আমলে আইন শৃঙ্খলা ভালো ছিলো, জিনিস পত্রের দাম কম ছিলো ও ১৪ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান বানিয়েছে বলে অরাজনৈতিক সংগঠন বিরোধী বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকার ভোট চাননি, বলেছেন আমাকে ভোট দিন । তিনি মরিচায় ২ দিন গণসংযোগ করেন উস্কানি মূলকবক্তব্য দেন, তার পরে দুইটা মার্ডার হয়, সে মার্ডারের দায় আমার উপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন কিন্তু মরিচার হত্যাকান্ডের দায় আপনি এড়াতে পারেন না, এমপি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকা দিবে তার পক্ষে ভোট করতে হবে যদি নৌকা আপনি পান আমি আপনার ভোট করে দিবো, এখনো সময় আছে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা প্রচার করুণ, তা না আওয়ামী লীগ করা যাবেনা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ শরীফ উদ্দিন রিমন বলেন, দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। চিলমারীর হত্যার জবাব দেওয়া হবে, মরিচার হত্যার জবাব দেওয়া হবে, বাগুয়ানে হত্যার জবাব দেওয়া হবে, এসব হত্যাকান্ডের নেপথ্যে যারা নায়ক তারা প্রস্তুতি হোন, আমরাও প্রস্ততি নিচ্ছি, খেলা হবে দৌলতপুরেও খেলা হবে। আপনারা যারা বিএনপি জামাত কে নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার পায়তারা করছেন তাদের দাঁত ভাংঙ্গা জবাব দিবে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক একসাথে আছি আমরা বিদ্রোহী প্রার্থীকে শক্ত হতে প্রতিহত করবো, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ যদি মুখ ফিরিয়ে নেই আপনি পালাবার রাস্তা খুঁজে পাবেন না। তাই বলছি শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা গুলো প্রচার করুণ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, দৌলতপুরে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ করছে সাবেক স্বতন্ত্র এমপি রেজাউল হক চৌধুরী। তিনি হয়তো ভুলে গিয়েছেন তিনি উপজেলা আওয়ামীগের সহ-সভাপতি? তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকার বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন সেটা সংগঠন বিরোধী, তিনি নৌকায় ভোট না চেয়ে তাকে ভোট দেওয়ার কথা বলছেন এবং তিনি আরও বলেন, আমি এই উন্নয়ন করেছি, সেই উন্নয়ন করেছি, তবুও তিনি শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের কথা বলেন না, তাহলে কি তিনি তার বাবার টাকা দিয়ে উন্নয়ন করেছেন। তিনি নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করার প্রস্ততি নিচ্ছেন সেটা আর সম্ভব হবে না । দৌলতপুরের মাটি নৌকার ঘাটি।
টোকেন চৌধুরী প্রকাশ্যে আল্লারদর্গা বাজারে গুলি করে হত্যা করেন খোকন নামের যুবককে । এছাড়াও যুবজোট নেতা সালাম কে কুপিয়ে হত্যা করে দৌলতপুরে খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন চৌধুরী পরিবার, ২০১৪ সালে রেজাউল হক চৌধুরী এমপি হওয়ার পরে তার ভাই ,ভাতিজারা দৌলতপুর থেকে মাদক, অস্ত্র, টেন্ডারবাজী, নিয়োগ বানিজ্য করে কোটি কোটি টাকা লুটপাত করেছেন। সেই পরিবারকে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ শক্ত হাতে প্রতিহত করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে ইনশাল্লাহ্।