দৈনিক তালাশ ডটকম : ফতুল্লার ইসদাইরে তুচ্ছ ঘটনায় অন্তঃসত্বা স্ত্রী ও স্বামীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা বাড়ি ঘরের দরজা জানালা ও ঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর করেন।বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার দুপুরে দু’দফায় ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় গাজী আলমগীর হোসেনের বাড়িতে এ হামলা চালানো হয়। এতে ওই বাড়িতে বসবাস করা লোকজনের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
এঘটনায় গাজী আলমগীর হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া জাকির হোসেন ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গাজী আলমগীর হোসেনের বাড়িতে দুটি ফ্লাটে ভাড়া থাকেন জাকির হোসেন ও আলম। তারা একই রান্না ঘরে পাক করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে জাকির হোসেনের অন্তঃসত্বা স্ত্রী আনেসা বেগম (২৮) রান্না ঘরে পাক করার সময় পাশের ফ্ল্যাটের আলমের ছোট বোন সুমাইয়া আক্তারের (২০) উপর পানির ছিটা পড়ে।
এনিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সুমাইয়া তার দুই ভাইকে ডেকে এনে আনেসা বেগমকে মারধর করে। এসময় আনেসা বেগমের স্বামী জাকির হোসেন ও পাশের ফ্ল্যাটের রমজান আলী এবং বাড়িওয়ালা গাজী আলমগীর হোসেন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে।
এক পর্যায়ে সুমাইয়ার ভাই আলম ও রাকিবুল স্থানীয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী কমল, রুবেল, সাব্বির, মানিক, পায়েল ও রক কাটা আকাশসহ আরো ১০/১৫ জনকে ডেকে এনে বাসায় ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় থানায় অভিযোগ করেন জাকির হোসেন। তাৎক্ষনিক পুলিশ না আসায় শুক্রবার দুপুরে ফের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ওই বাসায় দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায়।
বাড়িওয়ালা গাজী আলমগীর হোসেন জানান, ঝগড়া বিবাদ করা দুটি পরিবারই আমার বাড়ির ভাড়াটিয়া। এদের মধ্যে একটি পরিবার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে বাসায় হামলা চালিয়ে সামান্য বিষয়কে বড় করে আতংক ছড়িয়েছে। আমি সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।