বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অনিক গ্রপের সন্ত্রাসী হামলায় ক্যাপ রোমান হত্যা মামলার ২নং আসামী আরজুম কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

দৈনিক তালাশ ডটকম : নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অনিক গ্রপের সন্ত্রাসী হামলায় ক্যাপ রোমান হত্যা মামলার ২নং আসামী আরজুম কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত আসামী নাজজুমকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার (১ লা জুন) দুপুরে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত বুধবার (৩১ মে) রাত ৮টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত নাজজুম উল্লেখিত এলাকার রমজান মিয়ার ছেলে।

এ ব্যাপারে নিহত ক্যাপ রোমানের পিতা আব্দুর রহিম ওরফে আদু মিয়া বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৪৮(৫)২৩ ধারা- ১৪৩/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩০২/ ১১৪/ ৫০৬/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।

এর আগে গত শুক্রবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৮টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া বাজারস্থ মরহুম রশীদ সরদারের মার্কেটের সামনে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এদিকে পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনার ওই রাতেই ঘারমোড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী ঘাতক অনিক সরদারসহ ৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া সরদার বাড়ি এলাকার মহিদ সরদারের সন্ত্রাসী ছেলে ও একাধিক মামলার আসামী অনিক সরদার (২৭) একই এলাকার আকবর হোসেন মিয়ার ছেলে অন্তর হোসেন (২৫) বুরুন্দী এলাকার শাহাবুল্লাহ বেপারী ছেলে সন্ত্রাসী সবুজ (৩৮) ও একই এলাকার মিজানুর মিয়ার ছেলে দিদার (৩৮)।

পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার (২৭ মে) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে।

এদিকে নিহত ক্যাপ রোমানের মৃতদেহ শনিবার দুপুরে তার নিজ বাড়ি মদনগঞ্জ সৈয়ালবাড়ী ঘাটে আনা হলে ক্যাপ রোমানকে এক নজর দেখার সেখানে উৎসক জনতার ভীড় জমায়। পরে ওই দিন বাদ আছর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ক্যাপ রোমানের নামাজের জানাযা মদনগঞ্জ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মদনগঞ্জ সিটি কপোর্রেশন কবরস্থানে দাফন সম্পর্ন করা হয়।

সন্ত্রাসী অনিক গ্রুপ ও ক্যাপ রোমন গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ঘারমোড়া, আলীনগর ও সৈয়াল বাড়ি ঘাটসহ এর আশেপাশের এলাকা গুলোতে থমথমে ভাব বিরাজ করছে।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ফার্নিশ ওয়েল ব্যবসার নিয়ন্ত্রন ও মোবাইল ঘটিত বিরোধের জের ধরে বন্দর উপজেলার ঘারমোড়া সরদার বাড়ি এলাকার মহিদ মিয়ার সন্ত্রাসী ছেলে অনিক গ্রুপের সাথে মদনগঞ্জ সৈয়লবাড়ী ঘাট এলাকার আদু মিয়ার ছেলে ক্যাপ রোমান গ্রুপের দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শুক্রবার (২৬ মে) রাতে বন্দর উপজেলার ঘারমোড়া বাজারস্থ রশীদ সরদারের মার্কেটের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ওই সময় সন্ত্রাসী অনিক, সিফাত ও ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক গনমাধ্যমকে জানান, ক্যাপ রোমান হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জন এজাহারভূক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনার রাতেই মামলার প্রধান আসামী অনিক সরদারসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বুধবার রাতে মামলার ২নং এজাহারভক্ত আসামী আরজুম ওরফে আরজু ওরফে নাজজুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *