দৈনিক তালাশ ডটকম : সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া। তিনি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে আজ জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয় নেই। নেই কেন? এখানে (২নং রেলগেট) আমাদের কার্যালয় ছিলো। কিন্তু মেয়র আইভী তা ভেঙ্গে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, এখানে বহুতল ভবন করা হলে বিএনপির যত স্কোয়ার ফিট কার্যালয় ছিলো, তত ফিট কার্যালয় আমাদের বুঝিয়ে দেবেন। কিন্তু আজ বহুতল ভবন হওয়া সত্বেও তিনি আমাদের কার্যালয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন না। তিনি আমাদের দেয়া কথা রাখেন নি। কারণ, তিনি আওয়ামী লীগ করেন, তার পরিবার আওয়ামী লীগের। তারা চায় না, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কার্যালয় থাকুক। কিন্তু তারা জানেনা, সারা নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি ঘর বিএনপির এক একটি কার্যালয়। তাই মেয়র মহোদ্বয়কে বলছি, অতিসত্বর আমাদের কার্যালয়টি বুঝিয়ে দিন। যদি ব্যর্থ হন, তাহলে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের কার্যালয় বুঝে নিতে বাধ্য হবো।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকালে শহরের জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি তুখোড় বক্তা পারভেজ মল্লিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটুক্তি করায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমেরও কঠোর সমালোচনা করে জিয়া আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে এক পেতি নেতার জন্ম হয়েছে। সেই পেতি নেতা হচ্ছে বিলাই জাহাঙ্গীর। সেই বিলাই জাহাঙ্গীর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ তার পরিবার নিয়ে নোংরা ভাষায় কথা বলেছেন, কটুক্তি করেছেন। কোন নেতা এ ধরনের ভাষা ইউজ করতে পারেনা। আমি মনে করি, তার মাথায় সমস্যা আছে। এ সমস্যার জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দেরও তাকে বর্জন করা উচিৎ। ওনি যে ভাষায় কথা বলছে, তাকে সাথে সাথে বহিস্কারের আদেশ দেয়ার উচিৎ ছিলো প্রধানমন্ত্রীর। কেননা, এসব নেতা সব দলের জন্যই ক্ষতিকর।
জিয়া জাহাঙ্গীরকে ধিক্কার জানিয়ে বলেন, আমি আপনাকে ধিক্কার জানাই। এখনো সময় আছে আপনি জিয়া পরিবারের কাছে, এদেশের আঠারো কোটি মানুষের কাছে ক্ষমা চান। আপনার বক্তব্য আপনি প্রত্যাহার করে নেন। আপনাকে ক্ষমা চাইতেই হবে। যদি এদেশের মানুষ আপনাকে ক্ষমা করে, তাহলে আপনি ক্ষমা পাবেন। নয়তো, নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীরা আপনাকে ছাড়বেনা। কোন ছাড় দেয়া হবেনা আপনাকে।
বক্তব্য শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ূ কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে নেওয়াজ বিতরণ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম, মামুন আহমেদ, মো: রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন মশু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজন, সদস্য মো: কাইয়ূম, আল আমিন, মো: আলী, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো: ফারুক, মো: সেলিম, মো: ওয়াসিম, জেলা ওলামা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ কাইয়ূম, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো: আবির দেওয়ান, সোয়াদ চৌধূরী প্রমূখ।