দৈনিক তালাশ ডটকম :বন্দর নাসিক ২৫ নং ওয়ার্ডের লক্ষণখোলা,চৌরাপাড়া দাসের গাঁও পাতাকাটাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার বাতাস বিষাক্ত হয়ে উঠেছে,এ কারখানার কারণে লক্ষণখোলা আলহাজ্ব ফজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় ও লক্ষণখোলা হাফেজিয়া কওমী মাদ্রাসার প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী পড়েছে ভোগান্তিতে,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির কাছাকাছি এলেই শুরু হয় নাক-মুখ জ্বলা। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় ছাত্রছাত্রীদের। বাতাসে ভাসে সিসার ঝাঁঝাল গন্ধ। ক্লাস রুমের বাইরে এলেই শুরু হয় কাশি। কাশতে কাশতে এক সময় বমি শুরু করে শিক্ষার্থীরা,এ অবস্থায় এখানে নতুন আরও একটি ব্যাটারি কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী। ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় অবৈধ সিসা গলিয়ে ব্যাটারি তৈরির কারখানার নির্গত বিষাক্ত লেড অক্সাইড গ্যাসে অসুস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থী, মরছে মাছ, নষ্ট হচ্ছে সবজি ফলসহ গাছপালা এ অবস্থায় বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় দরজা – জানালা বন্ধ করে পাঠদান করছেন শিক্ষকরা,শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদেরও মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ব্যাটারি রিসাইক্লিং করে তা থেকে নতুন ব্যাটারি উৎপাদন করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির দেয়াল ঘেঁষে গড়ে উঠা ডংজিলংজিভিটি নামের ব্যাটারি তৈরির ওই কারখানাটি,এখানে ব্যবহৃত সিসা ও অন্যান্য কেমিক্যাল পোড়ানোর প্রভাব পড়ছে পরিবেশে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কারখানার আশপাশের মানুষসহ জীববৈচিত্র্য রয়েছে হুমকিতে। পরিবেশ অধিদপ্তর কয়েকবার কারখানাটিকে জরিমানা করলেও থেমে নেই সিসা গলিয়ে ব্যাটারি উৎপাদন,এলাকাবাসী জানান, উন্মুক্ত পরিবেশে সালফিউরিক অ্যাসিড দিয়ে ব্যাটারি ও সিসা পোড়ানোয় লেড অক্সাইড নামের এক প্রকার বিষাক্ত কেমিক্যাল তৈরি হয়ে বাতাসে মিশে যায়।পরে লেড অক্সাইড মানুষের শরীরে প্রবেশ করে শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ, অ্যাজমা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বমিসহ ভয়াবহ রোগের সৃষ্টি করে। কারখানাটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খুব কাছাকাছি হওয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা রয়েছেন সবচেয়ে বেশী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।