নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে ৮ বছরের শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় মো. ফরিদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার (১৯) রাতে রাজধানীর নর্দ্দা (গুলশান) থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ফরিদ লালমনিরহাটের আদিতমারীর সাংপুকুর গ্রামের মজনু হকের ছেলে শনিবার(২০ই মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃপারভেজ রানা তিনি জানান,গত ১৬ মে সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের মধুখালী বালুর মাঠ থেকে ৮ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। শিশুটির লাশের ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে একই দিন শিশুর বাবা ফিরোজ আলম মাসুম শিশুটির ছবি দেখে তার ছেলে মৃতদেহ সনাক্ত করেন। এরপর তিনি বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে গত ১৫ মে মেরুল বাড্ডা এলাকা থেকে একটি সিএনজিযোগে শিশুটিকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গা বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যান। এরপর তাকে বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানো শেষে একই তারিখ আনুমানিক ৭ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের মধুখালী বালুর মাঠে তার গলায় তার কাছে থাকা কাপড়ের টুকরা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ও ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যান তাকে গ্রেফতারের পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃতের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী র্যাব জানায়, ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর শিশুটি ইয়ামিনের মা আমেনা বেগম তার স্বামী ফিরোজ আলম মাসুমকে তালাক দেন। এরপর তিনি গ্রেফতারকৃত ফরিদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার করতে থাকেন। বিবাহের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল এবং প্রায় সময় ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। এক পর্যায়ে শিশুটির মা আমেনা বেগম ফরিদকে ডিভোর্স দেন। এই ক্ষোভে ফরিদ ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটির মাকে শায়েস্তা করার জন্য শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন