দৈনিক তালাশ.কমঃবৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন এ-র মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে গত ৫ আগস্ট বিকেলে নওগাঁর রানীনগরে উত্তেজিত জনতা বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। সেদিন মাদার কেয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের জানালা, দরজা, চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটারসহ আসবাব ভাঙচুর করে লুটপাট করা হয়। ফলে ওই স্কুলের পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা। জানা গেছে, ২০১৫ সালে উপজেলা সদরের রানীনগর প্রেস ক্লাব মোড়ে স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী ও সুশীল সমাজের পরামর্শে তৎকালীন নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত ইসরাফিল আলম মাদার কেয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা এরই মধ্যে সুনামের সঙ্গে পাঠদান করার কারণে সরকারিভাবে পাঠদানের অনুমতিও পেয়েছে। শুরুতেই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চললেও সংসদ সদস্যের মৃত্যুর পর কলেজ পর্যন্ত উন্নতি করা সম্ভব হয়নি।বর্তমানে পাঠদান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। লুটপাট আর ভাঙচুরের আতঙ্কের কারণে অভিভাবকরা তার সন্তানদের অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তির চিন্তা করছেন।ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন জানান, প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকেই আমি এই স্কুলে শিক্ষকতা করছি। গত ৫ আগস্ট ভাঙচুর আর লুটপাটে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০টি চেয়ার, ৮৫টি টেবিল, ২৫টি ফ্যান, ১৩টি জানালা, একটি দরজা, একটি কম্পিউটারসহ অন্যান্য আসবাব নিয়ে যায়। স্কুলটি বন্ধ থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ যেমন অনিশ্চিত, আমরাও কর্মহীন হয়ে পড়েছি। দ্রুত এর একটি সুষ্ঠু সমাধানের দাবি করছি।মাদার কেয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন জানান, ৫ আগস্ট ভাঙচুর ও লুটপাটের কারণে প্রতিষ্ঠানটি আপাতত বন্ধ আছে। শিক্ষার্থীদের চিন্তা মাথায় নিয়ে অন্য কোনো ভবনে পাঠদান শুরু করার ব্যবস্থা করা হবে।উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, যেহেতু ওই স্কুলটি আমাদের আওতাভুক্ত নয়; তাই ওই বিদ্যালয়ে কী ধরনের সমস্যায় পাঠদান বন্ধ আছে, তা আমার জানা নেই।