হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের নির্বাচনের মতবিনিময় সভায় প্রর্থীদের মাঝে তুমুল হট্টগোল

দৈনিক তালাশ ডটকমঃ বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের নির্বাচনে জেনারেল ও এসোসিয়েট গ্রুপের প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের সাথে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারী) বিকেলে হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের কার্যালয়ের সভা কক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান মোঃ আনিসুল ইসলাম সানী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের সদস্য জাকারিয়া ওয়াহিদ, কৃষ্ণ কুমার সাহা।
সভার শুরুতেই সকল প্রার্থী তাদের পরিচয় ও ব্যালট নং তুলে ধরেন।

এসময় সভাপতি বলেন, আগামী ৩ ফেব্রয়ারী হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ব্যালট পেপারে সিল মারার পর অনেক সময় কালী লেগে ভোট নষ্ট হয়। তাই এমন পেপারে ব্যালট ছাপা হচ্ছে যাতে করে একটি ভোটও নষ্ট না হয়। কেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল নিয়ে যাওয়া যাবেনা, সি সি ক্যামেরা থাকবে। ভোট নিয়ে কোন আপত্তি থাকলে দ্বিতীয় বার গণনার জন্য অফেরতযোগ্য নির্দিষ্ট টাকা প্রদান করতে হবে।

প্রচার প্রচারনার ক্ষেত্রে যেকোন পন্থা অবলম্বন করতে পারবে কিন্তু কোন প্রকার বিবৃতি বা অন্যকে নিয়ে কোন বক্তব্য দিতে পারবেনা। ভোটারদের কোন আপ্যায়ন করাতে পারবেনা। একজন প্রার্থী অন্যকোন প্রার্থীকে কোন প্রকার হুমকি-ধমকি দিতে পারবেনা। এতে করে প্রার্থীতা বাতিল হতে পারে। এবারের নির্বাচনের ভেন্যু হবে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব। এছাড়াও অন্যান্য বিষয় তুল ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশন প্রধান আনিসুল ইসলাম সানি।

এ সময় প্রার্থীরা বলেন, সবসময় ভোটের ভেন্যু হোসিয়ারী এসোসিয়েশন কমিউনিটি সেন্টারে হয়ে থাকে। তাহলে এবার কেন এতো বাড়তি টাকা খরচ করে অন্যত্র ভেন্যু করা হলো ? এমন প্রশ্ন তোলেন নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী প্রার্থীরা। এ ব্যাপারে কোন প্রকারের সদুত্তর দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিরা।

এছাড়াও প্রধান নির্বাচন কমিশন হোসিয়ারী এসোসিয়েশন এর সংবিধান সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না বলে জানায়। তাহলে কি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সুবিদা এবং খুশি করার জন্য ভেন্যু পরিবর্তন করা হলো ? এমন প্রশ্ন এখন প্রার্থীদের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন প্রধানের বক্তব্যের পর প্রার্থীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এ সময় প্রার্থীদের মাঝে তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে প্রতদ্বিদন্ধী প্রার্থীরা স্বাভাবিক হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *