দৈনিক তালাশ.কমঃশনিবার (২৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাইনবোর্ডে পুলিশ বক্স, ডাচ বাংলা ব্যাংক ভবন ও ক্ষতিগ্রস্থ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে ধ্বংসপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, পিবিআই কার্যালয় হয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসেন তিনি।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই নারায়ণগঞ্জে চাষাড়া, সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশদের উপর হামলা করা হয়েছে। পিবিআই এরই মধ্যে তদন্ত কাজে বেশ সুনাম অর্জন করেছিল। সেই পিবিআই অফিস ভাঙচুর, ৫টি গাড়িসহ অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আটকে পড়া ১২ জন পিবিআই সদস্যকে বিজিবি উদ্ধার করেছেস, যে জন্য তারা বেঁচে বেরিয়েছেন। পাসপোর্ট অফিসে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে। ডাটা নষ্ট করে দিয়ে যা ছিল সব শেষ করে দিয়েছে। ২নং রেল গেইট অফিসে পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আক্রমণের চেষ্টাও করেছিল তারা।
কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে একজন তার বাবাকে ফোন করে বলেছে, ‘আমি আত্মগোপণে আছি। আপনারা আমি কোথায় আছি জানাবেন না।’ নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আমরা তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করছি যে কারা তাদের উপর আক্রমণ করতে চাইছে। এসব জিজ্ঞাসা করে পরবর্তীতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি আরও বলেন, আপনারা সকলে ধ্বংসের লিলা খেলা দেখেছেন। জামায়াত-বিএনপি-জঙ্গি যারা স্বাধীনতা চায় নি, তারা সন্ত্রাসের উত্থান ঘটিয়ে দেশেকে অকার্যকর করতে প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। নারায়ণগঞ্জে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ অফিস, আওয়ামী লীগের যত স্থাপনা ছিল সব পুড়িয়ে দিয়েছে। এদের আক্রোশটাই ছিল পুলিশ ও আওয়ামী লীগের প্রতি। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি বাহিনী এদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। যখন তারা আর পারছিলেন না, তখন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে সেনাবাহীনির কাছে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির জন্য সাহায্য নেওয়া হয়। ছাত্রদের মিসগাইড করে হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। যারা মৃত্যবরণ করেছেন তাদের অনেকেই সাধারণ মানুষ। সেই সাথে পুলিশসহ আওয়ামী লীগের, ছাত্রলীগের অনেকেই শাহাদাত বরণ করেছেন। আমাদের দেশে খুব শিঘ্রই শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সিটি কর্পোরেশনের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ পরিদর্শন শেষে ২নং রেল গেইট এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসে আসেন। এসময় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।