কাশীপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা

দৈনিক তালাশ ডটকমঃফতুল্লার কাশীপুর ফরাজীকান্দা এলাকায় আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে নালিশা জমিতে স্থাপনা নির্মাণকাজ শুরু করে বিবাদীরা। পরে বাদী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়।
জমির মালিক দাবিদার জাকির হোসেন জানান, কাশীপুরের ফরাজীকান্দায় তাদের ৪০ শতাংশ জমিতে মালিকানা দাবি করে বিবাদী  ইব্রাহীম খলিল, ফরাজীকান্দা জামে মসজিদের সভাপতি সলিম মোল্লা, পাইকপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি নিজাম মৃধাসহ অন্যরা দখল করার পায়ঁতারা শুরু করেন। বিষয়টি ২০০৭ সালে আদালতে গড়ায়। চুড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নালিশা ভুমিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। দীর্ঘদিন এভাবেই আদালতে মামলা চলতে থাকে। কিন্তু এরই ফাঁকে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই জমিতে আবারও নির্মাণকাজ শুরু করেন ইব্রাহিম খলিল গং। এ  নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পরবর্তীতে ইব্রাহিম খলিল গং ফতুল্লা থানায় ওইদিনই একটি মামলা (নং-২২) দায়ের করেন। অন্যদিকে জাকির হোসেন গং বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফতুল্লা আমলী আদালতে পিটিশন মামলা (নং- ১০৮/২০২৫) দায়ের করেন। দুইপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য ফতুল্লা থানা পুলিশকে দায়িত্ব দেয়।
আদালতের আদেশে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুর রহমান সরেজমিন তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়Ñ‘মামলার ঘটনাস্থল ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর ফরাজীকান্দা সাকিনে উপস্থিত হইয়া ১ম পক্ষের দেখানো মতে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এসময় ১ম পক্ষের মানিত সাক্ষী ও উপস্থিত স্থানীয় লোকজনদের উপস্থিতিতে ফৌঃ কাঃ বিজঃ ১৫১ ধারা মোতাবেক উভয় পক্ষকে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারী করিয়া জারীকৃত নোটিশের বিপরীতপৃষ্ঠায় তাহাদের উভয় পক্ষের স্বাক্ষর গ্রহণ করি। কিন্তু ৬নং বিবাদী- ইব্রাহিম খলিল, ১৪নং বিবাদী ফরাজীকান্দা জামে মসজিদের সভাপতি ছলিম মোল্লা, ১৫নং বিবাদী পাইকপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি নিজাম মৃধাগণ বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করিয়া নালিশী ভূমিতে জোর পূর্বক নির্মাণ কাজ করে মর্মে প্রতীয়মাণ হয়। প্রকাশ থাকে যে, মামলার ঘটনাস্থলে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গে আশংকা চলমান আছে।’
উপ-পরিদর্শক আমিনুর রহমানের এমন প্রতিবেদনের পরে আদালত চুড়ান্ত শুনানী না হওয়া পর্যন্ত আবারও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও বিবাদীরা নালিশা জমিতে নির্মাণকাজ শুরু করেন।
এ বিষয়ে কথা বলার অভিযুক্ত সলিম মোল্লার মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *