দৈনিক তালাশ ডটকমঃসে পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলো, ধর্ষনের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বিএনপি বলছে হামলাকারি বিএনপি’র কেউ নয়। তাদের কর্মসূচী বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কর্মসূচীতে অংশ নেয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানায়, ধর্ষনের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচী শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলো। এসময় সে দেখতে পায়, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্বর হামলাকারি সম্রাটের সাথে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এক পর্যায়ে সে অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখে। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পায়।
হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, তার ছেলে বিসিকের টি শার্ট গার্মেন্টস এর শ্রমিক। সে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। সোমবার সন্ধায় সে ছাত্রদলের মিছিলে এসেছিলো। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবচেয়ে ছোট ছিলো। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।
হামলাকারি সম্রাট হোসেনের বাবার নাম মোহাম্মদ হোসেন। নগরীর গলাচিপা রেললাইন এলাকায় তার বাড়ি। হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবী করে জানায়, যারা হামলা করেছিলো তারা চলে গেছে। সে শহীদ মিনারের পাশের বেইলী টাওয়ারের একটি ফাষ্টফুডের দোকানের কর্মচারি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষনের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষনকারিদের বিচারের দাবীতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিলো। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে সে বিএনপি’র কেউ না। আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচী বানচাল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, ঘটনার সাথে জড়িত সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।