দৈনিক তালাশ.কমঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপির সাবেক এমপি প্রয়াত কমান্ডার সিরাজুল ইসলামের কন্যা জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি সামিয়া ইসলাম নেভিনা বলেছেন, দেশের মানুষ আর স্বৈরাশাসক চায় না। কোন লুটেরা, সন্ত্রাস, অপরাধী, ভূমিদস্যু জনপ্রতিনিধি এ দেশের মানুষ চায় না। এখন যাতে তাকে রাজনীতিতে আনলে চলবে না। যারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার রহমানের আদর্শকে লালন করে সেই মেধাবী, শিক্ষিত ও যোগ্য মানুষকে রাজনীতি করার সুযোগ দিবে। আগামিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এ দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় জনগণ।
গতকাল শুক্রবার ৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজারে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নারায়ণগঞ্জ জেলা আয়োজনে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। শহীদ জিয়া পরিবারের অনত্যম সদস্য খন্দকার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান আরমানের সভাপতিত্বে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মুরাদ ও মোহাম্মদ মিলনের সঞ্চালয়নায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি কবির প্রধান, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম ভুইয়া, বিআইডব্লিউটিএল শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ গোলাম রসূল রনি, নারায়ণগঞ্জ জেলা তারেক জিয়া প্রজন্মদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সনি, ২০নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম সম্পাদক আরমান ও বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী।
এর আগে শহর ও বন্দরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসে নেতাকর্মীরা। সভায় অতিথির বক্তব্যে শহীদ জিয়া পরিবারের অন্যতম সদস্য মাহমুদুল হাসান আরমানসহ নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের নানা দিক তুলে ধরেন।
শহীদ জিয়া পরিবারের অন্যতম সদস্য মাহমুদুল হাসান আরমান বলেছেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’র মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে রক্ষা করে ছিলেন। ১৯৯১ সালের দেশের জনগণ বিএনপিকে নির্বাচিত করে বাংলাদেশ উন্নত দেশে রূপ দেন। এখন ফ্যাসিবাদি সরকারকে উৎখাত করে আবারো দেশের জনগণ জিয়া ও খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনায় দেখতে চায়। গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। আওয়ামীলীগ দেশে-বিদেশে প্রশাসনে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে আর কখনো যেন ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচার ফিরে আসতে না পারে সেজন্য প্রতিটি নাগরিক সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সক্ষমতা অর্জন জরুরি। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নির্বাচিত হতে ইচ্ছুক জনপ্রতিনিধিদের জনগণকে ভোটের প্রতি মুখাপেক্ষী না করা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পাবে না।