দৈবিক তালাশ.কমঃ চলুন জেনে নেয়া যাক কে এ-ই রাসেল”সরকারের পতনের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন বিসিক শিল্পনগরী দখলের চেষ্টায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে ‘রাসেল’ পিতা গুল মোহাম্মদ গুল্লা, তার অন্যতম সহযোগীদের নাম “সুমন” পিতা আজাহার, বাচ্চু ও হযরতসহ কিশোরগ্যাং এর সদস্য বিসিক ৫ তলার মোর থেকে বিসিক মেনগেট পর্যন্ত বড় অটো থেকে চাঁদা তুলতো “সুমন”এখন বিসিক শিল্পনগরীতে ঝুট সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত, বিভিন্ন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিসিক শিল্পনগরীতে ঝুট সন্ত্রাসীদের নতুন সিন্ডিকেট এবং নীরব চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ?
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) নিহতের ভাই ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, অভিযুক্তরা হলেন- ফতুল্লা বিসিক মার্টিন গার্মেন্ট গলি গোল মোহাম্মদের ছেলে রাসেল মাহমুদ (৪২), নিহতের সাবেক স্ত্রী বর্তমান রাসেল মাহমুদের স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্না (৪২), মাসদাইর আদর্শ স্কুল রোড (হেলেনা কটেজ এর ৯ম তলার ভাড়াটিয়া) নিহতের মেয়ে জান্নাত আরা জাহান প্রেরনা (২১) ও ছেলে সারিদ হোসেন, বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়া ছেলে নুর আলম (৪৫), কাজল (৩২) ও মেয়ে রোকসানা আক্তার পুতুল (৪৬)।
এঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- নিহত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে জান্নাত আরা জাহান প্রেরনা (২১) ও ছেলে সারিদ হোসেন (১৯), বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়ার ছেলে ও সাবেক স্ত্রী ভাই -বোন নুর আলম (৪৫), কাজল (৩২) ও রোকসানা আক্তার পুতুল (৪৬) ও কাজের মেয়ে।
এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত আনোয়ার হোসেন আনুর ভাতিজা রাসেল মাহমুদের সাথে সাবেক স্ত্রী পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ২০১৮ সালে জামতলা বাসায় একটি কক্ষে ভাতিজা রাসেল ও সাবেক স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্নাকে একত্রিত অসামাজিক অবস্থায় ধরে ফেলে। সেই থেকে প্রতিশোধে আনুর উপর ক্ষুব্ধ হয় রাসেল মাহমুদ। ভাতিজার সাথে চাচীর প্রমের সম্পর্কে বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা হয়। সাবেক স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্নাকে ঘর সংসার করার জন্য বিভিন্ন ভাবে বুঝাইলেও আনোয়ার হোসেন এর কথায় কর্নপাত না করে ডিভোর্স দিয়ে রাসেল মাহমুদ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় পান্নার। পরে নিহত আনুর ছেলে সারিদ হোসেন ও জান্নাত আরা জাহান প্রেরনাকে পান্নার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। মা পান্নার কথায় ছেলে ও মেয়ে সব করতেন। এবং আনোয়ার হোসেন এর যাবতীয় আয়-রোজগার আনোয়ার এর ছেলে ও মেয়ের মাধ্যমে পান্না ভোগ করতে থাকে। এমনকি তার ক্রয়কৃত গাড়িটাকেও ব্যবহার করতে দিতেন না। এ নিয়ে আনোয়ার কোন প্রকার প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন সময় খুন জখমের হুমকি প্রদান করা হত।
দেওভোগ ৫৪ এল এন এ রোড এলাকার মৃত ছায়েদ আলী মিয়া ছেলে ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির এর ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন আনু (৪৮)। ২৬ আগস্ট মাসদাইরের ফ্লাট বাসায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফতুল্লা থানা অফিসার ইনচার্জ নূরে আজম মিয়া জানান, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার এজহার ভুক্ত আটককৃত আসামীদের আদালতে প্রেয়ণ করা হয়েছে।