দৈনিক তালাশ.কমঃরোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। এসময়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলাসহ রাইফেল ক্লাবের পার্শ্ববর্তী পেট্রোল পাম্পে পার্কিং করে রাখা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত চারটি বাসে ভাঙচুর চালান। ভাঙচুর শেষে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে অন্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা বিশাল আকার ধারণ করেন। সেই সঙ্গে একের পর এক গার্মেন্টস শ্রমিকরাও যোগ দিতে থাকেন। সবাই মিলে শহরের চাষাঢ়া গোল চত্বর এলাকা অবরোধ করেন।
কিছুক্ষণ পর আন্দোলনে যোগ দেওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকদের একটি অংশ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালান। তারা প্রথমে কার্যালয়ের সামনে ডিসি থিমপার্কে আগুন দেয়। পরে তারা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে যায়। এসময় জেলা প্রশাসকসহ অন্য কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কাঁদানেগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। পুলিশের রাবার বুলেটে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের একজন রুবায়েত বলেন, ডিসি অফিসের কাছে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ গুলি ছুড়ছে শুনে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। সামনে এগোতেই পুলিশ আমাদের ওপর গুলি ছুড়ে। আমাদের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। আমার সামনে একজনের কপালে গুলি লেগেছে।
অন্যদিকে, একই সময় গার্মেন্টস শ্রমিকদের একটি অংশ চাষাড়া রাইফেল ক্লাবে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে দেওয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। এসময় ক্লাবের সামনে টানানো শামীম ওসমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার নামিয়ে পুড়িয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য) ডা. মো. আবুল বাসার বলেন, গুলিবিদ্ধ ২৮ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে ১০-১২ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যালয়ের সামনে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।