দৈনিক তালাশ.কমঃ বিশেষ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চালানো দোকানপাঠ থেকে বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভুগী মনিরা বেগম জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিচার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ বজিরি এলাকায়। তবে এ বিষয়ে সুজন নামের ওই অভিযুক্ত ব্যাক্তির দাবী জমি ও দোকানপাঠ সহ নাকি তিনি নিলামে কিনেছেন এবং কোর্ট থেকে লোক এসে নাকি তাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে গেছে।
জানা গেছে, বিগত ১৮ মে ২০১৩ সাল থেকে সফি প্লাজা ও ফাইভ ষ্টার সমিতির কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়ে নবীগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের বিপরীত পাশের মাকের্টে একটি দোকান চুক্তিতে নেয় মনিরা বেগম নামের এক নারী। এক যুগ ধরে তিনি শান্তিপূর্ন ভাবে দোকান পরিচালনা করেন। এরপর গত ১৫ মার্চ ২০২৪ ইং সালে হঠাৎ করে সুজন সহ ২০/ ২৫ জন লোক এসে দোকানের মালামাল রাস্তায় ফেলে দেয় এবং বেশ কিছু জিনিপত্রও ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভুগী ওই নারী। এরপর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের দ্বারস্থ হয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। পরবতীর্তে ১৯ মার্চ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয়রা জানান, ওই নারী প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এখানে দোকান পরিচালনা করেছে। তাকে বিনা নোটিশে তার মাল সামানা সহ বের করে দেয়া হয়েছে। এটা অমানবিক হয়েছে।
ভুক্তভুগী নারী মনিরা বেগম জানান, একত যুগেরও বেশি সময় ধরে দোকান পরিচালনা করার পরও সুজন নামের এক লোক সাথে অজ্ঞাতনামা ২০/ ২৫ জন এসে আমার দোকানের মালামাল রাস্তায় ফেলে দেয়। এমনকি আমাকে ও আমার স্বামীকে টানা হেচড়া করে দোকান থেকে বের করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় আমার দোকানে বিক্রিত নগদ ২ লক্ষ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এমনকি বন্দর থানার দারোগা সামাদ তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে আমাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে।
অভিযুক্ত সুজন জানায়, আমি নিলামের মাধ্যমে এই মার্কেট পেয়েছি। এবং আদালতের মাধ্যমে আমাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে যায়। এসময় পুলিশও উপস্থিত ছিলো বলে জানায় সে। এমনকি মনিরা বেগমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি তিনি করেননি বলেও জানায় সুজন।