নওগাঁ কর্ণফুলী সমবায় সমতি লিমিটেড গ্রাহক দের ২০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও

দৈনিক তালাশ.জমঃউজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃনওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় মডেল স্কুলের মোড় এলাকায় পাঁচশত গ্রাহকের প্রায় বিশ কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাথের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্ণফুলী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার বিচারসহ পাওনা টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা। বৃহস্পতিবার (২২ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার সার্কিট হাউজের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। কর্ণফুল সমবায় সমিতির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম মহাদেবপুর উপজেলার উত্তর গ্রাম ইউনিয়নের বামন সাতা গ্রামের খোদা বক্স মন্ডলের ছেলে। বেস কয় একটি উপজেলায় কর্ণফুলী নামে শাখা পরিচালিত হতো বর্তমানে সেই শাখা গুলোও তালাবদ্ধ। অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার আশরাফুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধু পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী জনসাধারণ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মোঃ সাইদ হোসেন। আরো বক্তব্য দেন বামন সাতা গ্রামের রবিউল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, রুকসানা পারভীন, উম্মে হাবিবা, লিটন হোসেন, মিলন, রেজাউল করিম প্রমুখ। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা বলেন, প্রতি লাখে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা লাভ দেওয়ার কথা বলে অত্র সমিতিতে সঞ্চয় রাখার উৎসাহ প্রদান করে। আমরা সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে চাহিলে আশরাফুল ইসলাম বলেন যে, আজ নয় কাল বা পরশু আসেন বলে কাল ক্ষেপন করতে থাকেন। নানা অজুহাতে নির্ধারিত সময়ে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও দেননি। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা সমবায় অফিসার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা।তাদের একজন মান্দা উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ লিটন হোসেন বলেন,তাকে প্রতি মাষে আড়াই হাজার টাকা করে লাভ দেওয়ার কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করান।কয় এক মাষ লাভ দেওয়ার পর সেটি বন্ধ করে দেন,সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন। বার বার তাগাদা দেওয়া সত্বেও একটি টাকাও ফেরত পাননি তিনি। গত সাতদিন ধরে সভাপতি, সম্পাদক সকল স্টাফ সবাই উধাও। বদলগাছি উপজেলার বাসিন্দা মিলন হোসেন বলেন, মাসে মাসে লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য এক বছর আগে কর্ণফুলী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির সভাপতির হাতে ১০ লক্ষ দিয়েছিলাম। আমাকে এখন আর লভ্যাংশ দেন না টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করেন এখন দেখি অফিস বন্ধ। বার বার ধরনা দিয়েও কোন কাজ হয়নি। মিলন হোসেন টাকা দিয়ে এখন পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। মহাদেবপুর, মান্দা পোরশা,সাপাহার, বদলগাছি,ও পত্নীতলা উপজেলার পাঁচশত মানুষ এভাবে লাভের আসায় টাকা দিয়ে ধরা খেয়েছেন বলে দাবি করেন মিলন হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *