দৈনিক তালাশ.কমঃআসামিদের আদালতে দায় স্বীকার।ঘটনা ও গ্রেফতারের বিবরণ:জেলার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় ওসি ডিবি জনাব রুপন কুমার সরকার, পিপিএম(বার) এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় : ইং ৩০/০১/২০২৪ তারিখে বিজ্ঞ বিচারক, অতিরিক্ত দায়রা জজ, ৩য় আদালত মহোদয়কে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নজরুল ইসলাম নাম ও বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টি, যশোর এর বরাদে পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে একটি চিঠি প্রেরণ করে। যাহাতে বিজ্ঞ বিচারককে ১টি ধর্ষণ মামলার আসামীকে জামিনের কথা বলে, না দিলে জীবন নাশের হুমকি দেয়। উক্ত বিষয়টি জানতে পেরে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম তদন্তে নেমে যশোর প্রধান অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে চিঠি পোষ্টকারী সনাক্ত করে ইং ০১/০২/২০২৪ তারিখ রাত ০১.০০ ঘটিকার সময় পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সিসিটিভিতে প্রাপ্ত ব্যক্তিকে। জিজ্ঞাসাবাদে সে সত্যতা স্বীকার করে ও তথ্য প্রদান করে পরে তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক মুল আসামী একজন এ্যাডভোকেটসহ মোট ০৩ জনকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয়, কম্পিউটার সিপিইউ, হার্ডডিস্ক, মোবাইল। এই ঘটনা সংক্রান্তে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করলে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-০৪ তাং-০১/০২/২০২৪ ধারা-দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ রুজু হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোঃ ইমরান আহম্মেদ এর আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। জানা যায়, বিচারাধীন ধর্ষন মামলার উকিল মনোনীত না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে আসামীদের যাহাতে জামিন না হয়, সেই অভিপ্রায়ে গ্রেফতারকৃত এ্যাডভোকেট নব কুমার কুন্ডু উক্ত চিঠি প্রেরণ করেন। বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টি বলে কিছু পাওয়া যায় নি।
আসামীর তথ্য:
১। এ্যাড. নব কুমার কুন্ডু (৫৫), পিতা- মৃত কৃষ্ণ হরিকুন্ডু, মাতা- মৃত গৌরী রানী কুন্ডু, স্থায়ী-বল্লামুখ, থানা-বাঘারপাড়া, বর্তমান ঠিকানা- পুরাতন কসবা চাকলাদারপাড়া জণৈক কমিশনার গ্রীল মনির বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর (এআইডি-৪১২৪৭০৫০৬৫৭৪৫) ২। রবিউল ইসলাম @ রুবেল (৪২), পিতা- জালাল উদ্দিন, মাতা- মৃত রাশিদা পারভীন, সাং-পুরাতন কসবা কাজীপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর ৩। মিহির কুমার সাহা (৬০), পিতা- মৃত সুরেন্দ্র নাথ সাহা, মাতা- মৃত প্রিয় বালা সাহা, সাং- ষষ্টিতলাপাড়া রেলগেট পঙ্গু হাসপাতালের সামনে জনৈদ বাদল দাসের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোরে।
উদ্ধারকৃত আলামতঃ
১। ১টি কম্পিউটার সিপিইউ
২। ১টি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক
৩। ০২টি মোবাইল ফোন
৪। ১টি ছাপা ফুলহাতা শার্ট।