দৈনিক তালাশ.কমঃ নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারের সামনে ও পিছনের রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর ভাসমান দোকান। ফলে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে যানবাহন ও পথচারীদের। প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। হোসেন ওরফে ভুইট্টা হোসেন চাঁদাবাজির মাধ্যমে ফুটপাত থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এসব হকার দিনভর পণ্য বিক্রি করে করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা আয় করেন। এ দিয়েই চলে তাদের সংসার। শহীদ মিয়ারের সামনে এক একজন হকারকে দুই থেকে তিন ফুটের একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসতেও দিতে হয় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।হোসেন ওরফে ভুইট্টা হোসেন অসহায় এসব হকারের কাছ থেকে প্রতিদিন আদায় করে থাকে টাকা।
শহীদ মিনারের সামনে ও পিছনের ফুটপাতসহ আশপাশের ফুটপাতকে ঘিরে দোকান প্রতি দৈনিক ১০০ থেকে ২০০ টাকা হারে মাসে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে হোসেন ওরফে ভুইট্টা হোসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাষাড়ার এই স্থানটিতে প্রতিদিন প্রায় এক শতাধিক হকাররা দোকান নিয়ে বসে। প্রতিটি হকারকে দিতে হয় ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে। মাসে দশ থেকে বারো লাখ টাকার বাণিজ্য হয়ে আসছে। চাদঁবাজির এ পরিমাণ বছরে গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকায়। এছাড়াও প্রতিটি দোকান বাবদ ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার এমনকি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ‘জামানত’ও নেয়া হয়েছে। বিদ্যুতের প্রতি লাইট বাবদ ৩০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।
কয়েকজন হকারের ভাষ্যমতে বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে পুলিশের চাপ থাকায় আমরা এখানে এসে দোকানদারি করি। আর আমাদের কষ্টার্জিত এ অর্থ থেকে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাদাঁ নেয়। এছাড়াও প্রতিটি লাইটের বিল বাবদ ৩০ টাকা করে নেয়। আর এখানে দোকান বসাতে হলে তাদেরকে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা সালামী দিতে হয় বলেও জানায় এ হকাররা। তাই এসকল চাদাঁবাজদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে নারায়ণগঞ্জবাসী।