নওগাঁ স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ভ্রাম্যমান বাজারে ১৩ টাকা সবকিছু পেয়ে খুশি ক্রেতা

দৈনিক তালাশ.কমঃ উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃনওগাঁ জেলা সদরে উপজেলা হলরুমে ভ্রাম্যমান বাজারের আয়োজন করা হয়েছে সারাদিনব্যাপী ভ্রাম্যমান বাজার অল্প আয়ের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে১৩-টাকায়-হাজার টাকার-বাজার বুধবার দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বাজার বসানো হয়েছিল ‌।

নওগাঁয় ১৩ টাকার বিনিময়ে নিম্ন আয়ের ২০০ পরিবার ‘ঐক্যমতের বাজারে’ বাজার থেকে প্রায় ১ হাজার টাকার ব্যাগভর্তি বাজার করতে পেরেছেন।বুধবার দিনব্যাপী এমনই এক ভ্রাম্যমাণ বাজার বসানো হয়েছিল নওগাঁর সদর উপজেলা হলরুমে। যার নাম দেয়া হয় ‘ঐক্যমতের বাজার’।

সেখানে সারি সারি সাজানো চাল, ডাল, তেল, লবণ, আটা, সুজি, ডিম, মাছ, মাংস ও শীতবস্ত্র নিজের পছন্দমতো বাজার করে নিয়ে যান নিম্ন আয়ের মানুষরা।এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিশেষ এই বাজারের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়। এমন আয়োজন করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম রবিন শীষ, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিন, জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি রায়হান আলম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ‘বেলা শেষে’র প্রতিষ্ঠিাতা তসলিমা ফেরদৌসসহ বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবীরা।বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাল ১ টাকা, ডাল ২ টাকা, চিনি ৩ টাকা, মাছ ৫ টাকা, মুরগি ৫ টাকা, এক ডজন ডিম ২ টাকা, কম্বল ৪ টাকা, শীতবস্ত্র ১ টাকা, ছোলা ১ টাকা, তেল ৫ টাকা, লবণ ১ টাকা, আটা ৩ টাকা ও সুজি ১ টাকা নামমাত্র মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। জনপ্রতি ১৩ টাকায় কিনতে পেরেছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য। বর্তমান বাজারে যখন নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি, তখন এমন দামে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে পেরে খুশি নিম্ন আয়ের স্থানীয় মানুষেরা।বাজার করতে আসা লায়লা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘আমি একজন অসহায় মানুষ। বর্তমান বাজারে যে অবস্থা এতে করে আমরা গরিব মানুষ বাঁচতে পারব না। আজকে ১৩ টাকায় চাল, ডাল, মুরগি ও শীতের কাপড় পেলাম। এতে আমার খুব উপকার হলো।’
আয়শা বেগম নামের আরেক নারী বলেন, ‘আমি তেল, ডাল, মুরগি ও আমার বাচ্চার জন্য কাপড় নিলাম। এখানে কম দামে পেয়ে আমি অনেক খুশি।’
শুকবার আলী নামে আরেকজন বলেন, ‘এখন বাজারে সবকিছুর দাম অনেক। ডিম, মাছ-মাংস আমাদের মতো গরিব মানুষের পক্ষে কিনে খাওয়া খুবই কষ্টকর। তবে আজ ১৩ টাকায় ইচ্ছামতো বাজার করতে পেরেছি। মুরগি, ডিম, চাল, ডাল, তেল, গেঞ্জি অনেক কিছু কিনেছি।’বিদ্যানন্দফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন, “‘ঐক্যমতের বাজার’ করোনার পর থেকেই চালু করা হয়েছে। পরিবারে ছোট ছোট অমিল থেকে বড় ধরনের বিভেদ তৈরি হয়। সে বিভেদ মোচনের জন্য ঐক্যমতের বাজার নামে এ প্রকল্পটি চালু করা হয়। এছাড়াও শুরু থেকেই শিক্ষা, খাদ্য, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে কাজ করছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। বিশেষ করে হতদরিদ্র মানুষের প্রয়োজনগুলো নিয়ে কাজ করছি আমরা।’তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের এই বাজার থেকে ১৩ টাকার বিনিময়ে প্রায় ১ হাজার টাকা মূল্যমানের ১৪টি নিত্যপণ্য কিনতে পারছে স্বল্প আয়ের মানুষেরা। ঐক্যমতের মিল থাকলেই স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এই বাজার থেকে বাজার করার সুযোগ পান একটি প্রতীকী মূল্যে। যাতে ব্যাগভর্তি বাজার করে হাসিমুখে বাসায় ফিরতে পারেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *