ভিসা কনস্যুল প্লাটফর্ম লিঃ এর ব্যবস্থপনা পরিচালক সালাউদ্দিন রুবেলের ও শাহ মোঃ ফাহাদ বিন রউফ এর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

দৈনিক তালাশ ডটকমঃ স্টাফ রিপোর্টার: স্বপ্নের দেশ ইউরোপে পাঠানোর কথা বলে ৭০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কুমিল্লার দাউদকান্দির বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ আজ নিরুপায় হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সম্প্রতি এমন প্রতারনার স্বীকার হয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দির বেশ কয়েকটি পরিবার।

বিদেশ গিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় ছাড়তে হয় পরিবার-পরিজন, কেউ আবার নিজের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দিয়ে মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করে বিদেশে যাওয়ার। চোঁখে স্বপ্ন থাকে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে থাকার। এ যেন আকাশচুম্বী স্বপ্ন।

শেষে দালাল চক্রের ফাঁদে, স্বল্প টাকায় ইউরোপ যাওয়ার লোভে পড়ে, প্রতারণার শিকার হচ্ছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একটি গোষ্ঠী।

সংঘবদ্ধ এই চক্রটি তাদের বিলাসবহুল অফিস, ইন্টেরিওর চাকচিক্য দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।আর প্রতারক চক্রের কেবলমাত্র একটি শিরোনামেই সর্বস্ব হারাচ্ছেন শতশত মানুষ।তাদের শিরোনাম হচ্ছে “আমরাই একমাত্র স্বল্প টাকায় ইউরোপে লোক পাঠাই”।
আর এই ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্নে নিজেদের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে তুলে দিচ্ছেন প্রতারক চক্রের হাতে। এরপর শুরু হয় দালালচক্রের নানা টালবাহানা।

এমনই প্রতারণার শিকার হাবিব সরকার এ বিষয়ে তেঁজগাও শিল্প থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে আমি ও আমার লোকদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য ঢাকাস্থ ভিসা কনস্যুল প্লাটফর্ম লিঃ এর ব্যবস্থপনা পরিচালক সালাউদ্দিন রুবেলের (জাতীয় পরিচয় পত্র নং-৬৪২৪৭৭৩৩৩৮) কাছে জমা দেই।

পরে ৬ নভেম্বর তারিখে আমি তার প্রতিষ্ঠানের মানি রিসিটের মাধ্যমে ৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জমা দেই।
ঐ মাসেই আমার বন্ধু মাসুদ রানার কাছ থেকে ১১ হাজার ইউরো (১৬ লক্ষ টাকা) নেয়।

দুই দফায় নেয় ২৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।

আর জার্মানিতে অবস্থিত আমার মামা ইন্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালিউল্লাহ মিয়ার জার্মানিতে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানো (ইউরেশিয়া-মার্ট ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট, এমভিএস কেরিসটর ১৩৩ ৪২২১০ ডুসেলডর্ফ) এর কাছ থেকে অপর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মোঃ ফরহাদ বিন রউফ/শাহ মোঃ ফাহাদ বিন রউফ (জাতীয় পরিচয় পত্র নং-৪৬৬৬৮৯৭২৬১) নেয় আরও ৪৫ লক্ষ টাকা।

যার প্রমান হিসেবে রয়েছে ভিডিও ফুটেজ।
সর্বমোট ৭০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে।
৬ মাসের মধ্যে আমি ও আমার লোকদের ইউরোপ নেয়ার কথা থাকলেও সময় পেরিয়ে যাবার পর তার সাথে যোগাযোগ করে চাপ দিতে থাকলে ২০২৫ সালের মে মাস থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

পরে জানতে পারি, তারা অফিস বন্ধ করে পালিয়েছে। তাদের সাথে বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।

বর্তমানে  সালাউদ্দিন রুবেল দেশেই রয়েছে। এ প্রতারককে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *