দৈনিক তালাশ ডটকমঃ সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলাধীন বাংড়া শহীদ আবুল কালাম আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কালিহাতীর ৫২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে মেধাস্থান পঞ্চম।
এ বছর বিদ্যালয়ের মোট ২৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ফলাফল জিপিএ-৫ (A+) পেয়ে বিদ্যালয়, শিক্ষক-অভিভাবকসহ পুরো এলাকাকে গৌরবান্বিত করেছে। সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার, অত্র বিদ্যালয়ের
সভাপতি ও আজীবন দাতা সদস্য মোঃ সুলতান গিয়াসের সভাপতিত্বে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কবির। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত),
মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন, ও সঞ্চালনায় ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা), মোঃ মনিরুজ্জামান। আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি সৈয়দ সাইফুল ইসলাম কবির, এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ সৈয়দ মিজানুর রহমান রওশন, সৈয়দ মঞ্জুর মোরশেদ জগলুল, সৈয়দ আহসান উল্লাহ, শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সংবর্ধিত কৃতি শিক্ষার্থী হল:
১. মোঃ জুহুরুল ইসলাম
২. হাসান আহমেদ
৩. সানজিদা আক্তার
৪. লোনা আক্তার
৫. শম্পা ভৌমিক
৬. রোকসানা রানী
এই ছয় শিক্ষার্থী কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং শিক্ষক-অভিভাবকদের সুনিপুণ দিকনির্দেশনায় এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন বলেন,
“আমাদের মতো একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যালয়ের জন্য এ ধরনের ফলাফল অত্যন্ত গর্বের। এই সাফল্য প্রমাণ করে—সুযোগ পেলে গ্রামের শিক্ষার্থীরাও অসাধারণ কিছু করে দেখাতে পারে।”
সভাপতি মোঃ সুলতান গিয়াস জানান,
“এই কৃতিত্ব শুধু বিদ্যালয়ের নয়, পুরো এলাকার। এই শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব গড়বে।”
প্রধান অতিথি মোস্তফা কবির তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের জীবনে নিয়মিত অধ্যবসায়ের গুরুত্ব ও নৈতিকতাপূর্ণ শিক্ষার মূল্যায়নের কথা তুলে ধরেন।
মোট পরীক্ষার্থী: ২৮ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ: ২৪ জন, জিপিএ-৫ (A+): ৬ জন
এই সাফল্যের পেছনে যেমন আছে শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়, তেমনি আছে শিক্ষকদের পরিশ্রম, অভিভাবকদের উৎসাহ ও এলাকার সার্বিক সহযোগিতা।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নতুন প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে।
শেষ কথায় বুঝা যায়-
একটি ছোট্ট গ্রামীণ বিদ্যালয়ের এ সাফল্য প্রমাণ করে— স্বপ্ন, শ্রম ও সহযোগিতা থাকলে সবকিছু সম্ভব।