সিরাজগঞ্জ তিনটি উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে চাপা আতংক মাঠে ধান মনে ভয়

দৈনিক তালাশ ডটকমঃ সিরাজগঞ্জ থেকে ফারুক আহমেদঃ মাঠে পাকা ধানের ম,ম গন্ধের হৃদয়জুড়ানো সুবাস; কিন্তু স্বস্তিতে নেই কৃষকরা। আকাশ কালো হলেই তাদের মধ্যে অজানা এক আতংক ভর করে। ফসল ঘরে তুলতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা যায়। কালবৈশাখী মাসের শেষের দিকে প্রচন্ড গরমে  তাদের মনে শঙ্কা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। গত বছরে কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টিতে অকাল বন্যা হওয়ায়  তিনটি উপজেলার রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার নিম্ন অঞ্চল সব ধান তলিয়ে গিয়েছিল। আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সীমাহীন খাদ্য সংকটে পড়া কৃষকেরা এবার বোরো ইরি চাষ করে ঘুরে দৌঁড়ানোর চেষ্টা করছে,কিন্তু এবার ফসলের ক্ষতি হলে তাদের আর কোনো উপায় থাকবে না। সিরাজগঞ্জর তিনটি উপজেলার নিম্ন অঞ্চল ছাড়াও সিরাজগঞ্জের আরো অন্য উপজেলার কৃষকদের মধ্যেও একাই উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। তাড়াশ উপজেলার দিঘি সগুনার কৃষক আব্দুল ছালাম এই প্রতিনিধিকে বলেন, এবারো বৈশাখের যে গরম পড়েছে তাতে যখন সন্ধ্যার সময়   আকাশে কালো দেখা যায় তখন মনে হয় এবারেও ধান আমি ঘরে তুলতে পারবো  বলে মনে হয় না। গত কয়েক বছররের ক্ষতি পোষাতে এ বছর জেলার তিনটি উপজেলায় হাওর অঞ্চলের কৃষকেরা উন্নত জাতের ধান আবাদ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের গাছগুলোও খুব বেড়েছে। এরই মধ্যে ব্রি- ২৮ ও সবুল লতা কাটারীসহ আগাম জাতের ধান মাঠে  প্রায় কাটা শেষ  করেছে কৃষকেরা।  কিন্তু আধা পাকা অবস্থায় আগে ভাগে কাটায় ধানে চিটার পরিমাণ বেশি দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে রযেছে ব্লাস্ট ও নেট রোগসহ শীর্ষ কাটা কারেন্ট  পোকার আক্রমণ।  তাই কৃষকরা আশস্কা করছে, এবারও কি তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে। সলঙ্গা আমশড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন,  গত বছর কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টিতে  আমাদের নিম্ন অঞ্চলের নিচু ইরি বোরো ধান  ক্ষেত পানির নিচে পড়ে তলিয়ে গেয়ে নষ্ট হয়েছিল।  উল্লাপাড়া উপজেলার কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, গত আমন মৌসুমে খাল পূণ্য খনন না করার কারণে  দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টির পানি জমে  নিচু জমি গুলি বন্যার পরিনত  হাওয়ার কারণে আমরা কোনো ক্ষেতে আবাদ করতে পারিনি। আগের কয়েক বছরও আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমাদের জমিগুলি সরিষা থাকায় নাবি ২৯ থান রোপন করে  অতীতের  ক্ষতি কিছুটা পোষাতে চেয়েছি। কিন্তু ধানে  বিভিন্ন রোগ দেখা দেওয়ায় এখন আশস্কার মধ্যে আছি। এ  ছাড়া এবার প্রচন্ড গরম ও বিভিন্ন জায়গায়  দফায়  দফা শিলাবৃষ্টি কথা শুনে  আমাদের মনে শঙ্কা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।   এবার যদি বোরো ধান ঘরে তুলতে না পারি তাহলে আমাদের পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। রায়গঞ্জ কৃষি অফিসার আব্দুর রউফ এই প্রতিনিধি বলেন,  উপজেলায় এ বছর ১৯ হাজার তিন শত পাঁচ  হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলায়  গত বছরে দফায় দফায় অতি বৃষ্টি কারণে বিভিন্ন  উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের বোরো ও আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছিল। এই জন্য হাওর বাঁচাও বিল বাঁচাও  ও কৃষক বাঁচাও কথা গুলি বলছিলেন,   সলঙ্গা থানার বিজ, ও বালাইনাশক ডিলারের সহ সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ীক ও  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩নং ধুবিল ইউনিয়ন শাখার বায়তুলমাল সম্পাদক আইয়ুব আলী এই প্রতিনিধিকে আরো বলেন,   নেক ব্লাস্ট রোগ ও কোল্ড ইনজুরির কারণে ধানে চেটা দেখা দিতে পারে রাতের তাপমাত্রা কম থাকলে কোল্ড ইনজুরি দেখা দেয় আর এমনতিইে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ধানে চিটা থাকে। আমরা আশাবাদী যে এবার উপজেলায় বোরো আবাদ খুব ভালো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *