বৃহত্তর তল্লা খানপুরে নিয়ন্ত্রণে মাদক সম্রাট ইয়াবা পায়েল ও তার সহযোগী ফিটিং পরশ

দৈনিক তালাশ ডটকমঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এরপর থেকে সারাদেশের আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরো পুরি ভাবে ঝিমিয়ে ঠিক ওই সময় দেশ রক্ষার দায়িত্বে আসেন অন্তবর্তী সরকার। তাদের দেশ শাসনের চলমান অবস্থায় ও তেমন কোনো উন্নতি হয়নি আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির।

আর বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা।
তারা বলছেন বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায়,বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। শহর বন্দর  অলি,গলিতে অবাধে চলছে। ছিনতাই ডাকাতি ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার রামপুরা বনশ্রীতে, স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের পথরোধকরে তার কাছে থাকা স্বর্ণ ও এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এরকম ঘটনা ঘটছে প্রতিদিনই। আর এ সকল ঘটনারদায়ী হিসেবে উল্লেখ করেন।মাদককে। এই মাদকের ছোবলে ক্ষত বিক্ষত পুরো দেশ। আমরা যেন একরকম অপরাধীদের কাছে জিম্মি হয়ে গেছি।নিজেদেরকে এখন অসহায় মনে হয়, তা না হলে নারায়ণগঞ্জের কথাই বলি সদর থানা এবং ফতুল্লা থানার কতটুকু আর আয়তন।এর মধ্যে এমন কোন অলিগলি নাই যেখানে মাদক বিক্রি না হচ্ছে। এবং আপনারা  জানেন যে, এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের নামে হত্যা মামলা সহ  একাধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের অনুসন্ধান টিম তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে উঠে আসে  উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের নাম।
আমলাপাড়া এলাকায় রয়েছে মরণ নেশা ইয়াবা ট্যাবলেটের ডিলার মাইগ্যা সুমন- কখনো সমবায় মার্কেটে গলি কখনো আমলাপাড়া এলাকার ভিতরে আবার কখনো হকার্স মার্কেটের সাথের গলিতে মাদকের জমজমাট বাণিজ্য।
চাষাড়া রেলস্টেশন ও বস্তির মাদক জমজমাট স্পট নিয়ন্ত্রণে রাজ্জাক,পেদাআলী, সিএনজি ফরিদ, রায়হান, বাবুর্চি সেলিম, বিলকিস এর জামাই জাহিদ>রাজ্জাকের -জসিম, ওয়াসিম, ইয়াদ আলী, মেনেজার নবী ওরফে মোশারফ, সেলম্যান মন্টু- টোকাই মিজান- রাজু- সজীব- জুয়েল- সোলেমান  মুন্সী- পান্নু- নাবিল- আমিরের ছেলে জুয়েল- শুকুর – মানিক- জনি – নাবিল- বিপ্লবের মা ও বিপ্লব- প্যাঙ্গা- ক্যাশিয়ার ছোট কালু, আমেনার ছেলে সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুল তার অন্যতম সহযোগী বাবু।
নারায়ণগঞ্জ জেলা এসপি অফিসের সামনে প্রতি নিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট- গাঁজা ও হেরোইন, নতুন কোর্টের সামনে মাদকের জমজমাট বাণিজ্য, ইসদাইর বুড়ির দোকানে এলাকার, কাশেম এর ছেলে- মাদক সম্রাট পাগলা আকাশ, তার অন্যতম সহযোগী ,ফর্মা জালাল ও তার দুই ছেলে রনি ও জনি, মাদকের ওপেন স্পট তাদের ক্যাশিয়ার, বাগা ও আপসুও মিয়া ছেলে সেলসম্যান মোস্তফা।
মাদকের ব্যবসায় কাইমপুর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে চুদুসোহেল,সোহেল এর ভাই সোহান, ধেনদা হানিফ, ওয়াবদার পুল হাজিগঞ্জে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সুফিয়ান, রুবেল, বাতেন, বাতেনের বউ সুমি, বৃহত্তর তলার নিয়ন্ত্রণে তল্লা গ্রীন রোড এলাকায় হাবিব হত্যা মামলার আসামি কইতর শ্যামল। অপরদিকে গফুর পট্টি, তল্লা সবুজবাগ, সেকশন বাড়ি, খানপুর, লেনজির মোর, পুরা মসজিদসহ আসপাশেরে এলাকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মাদকসম্রাট পায়েল।
পায়েলের শ্বশুর বিএনপি নেতা বিল্লাল, শাশুড়ি নাজমা। ছোট বোনের স্বামী সালাউদ্দিন। ছোট ভাই যুব। প্রকাশ্য সড়কে অবাধে চলছে তাদের মাদকের ব্যবসা। মাদক বিক্রির টাকায়, গড়ে তুলেছে বন্দর থানাধীন কাইটাখালী এলাকায় বিলাসবহুল বাড়ি। বাঁধন বাস, অটো মিশুকের ক্রয় বিক্রয়। অটোর গ্যারেজ দামী, দামী মোটর সাইকেল। সূত্রটি আরো নিশ্চিত করে জানায়,, খানপুর সরদারপারা এলাকার নিয়ন্ত্রণে আছে, বিএনপি নেতা মাস্টার দেলুর অন্যতম সহযোগী।
রনির ভাই রানা। সূত্রটি আরো নিশ্চিত করে জানায়,এসকল মাদক কারবারীদের মূল হোতা ইয়াবাপায়েল ওরফে পিচ্চি পায়েল।এবং তার অন্যতম সহযোগী সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা ১১ নং ওয়ার্ড সভাপতি জসীমউদ্দীনের ছেলে- পরশ ওরফে ফিটিং পরশ। জানা গেছে ফিটিং পরশ সাবেক আওয়ামীলীগ আমলে বাবার ক্ষমতায় মাদকের রাজত্ব করেছেন।
বর্তমানে বিএনপি নেতাদের  নাম ভাঙ্গিয়ে মাদকের রাজ্যে বহাল তবিয়তে।এ ব্যাপারে সচেতন মহলের দাবি অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার, র্যারসহ, সেনাবাহিনীর  হস্তক্ষেপ কামনা করছেন, নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের সচেতন মহল।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *