দৈনিক তালাশ ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিনিধি: বাসাইলে মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলমের ভাতা আত্মসাৎ করল আপন ভাই নবাব আলী। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় সরোজমীনে গিয়ে দেখা যায়, বার্ধক্য ও অসুস্থতার ভরে শয্যাশায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকি মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলম দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। তিনি একজন স্বীকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা। অথচ তাঁর নামে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে ছোট ভাই নবাব আলী দীর্ঘদিন ধরে সম্মানী ভাতা উত্তোলন করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবারের দাবি, নবাব আলী নিজের ছবি ব্যবহার করে খোরশেদ আলমের সনদে ভাতা তুলে নিচ্ছেন। নবাব আলীর জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন, জমি ও বিবাহ রেজিস্ট্রি, এমনকি সন্তানদের পরিচয়পত্রেও তাঁর নাম নবাব আলী উল্লেখ রয়েছে। শুধু মুক্তিযোদ্ধা সনদে তাঁর নাম হয়ে গেছে খোরশেদ আলম।
পরিবার জানায়, খোরশেদ আলমের দীর্ঘদিনের শয্যাশায়ী অবস্থার সুযোগ নিয়ে নবাব আলী কাগজপত্র সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরে তিনি নিজেই ভাতা উত্তোলন শুরু করেন এবং এখন নিজেকে খোরশেদ আলম বলে পরিচয় দিচ্ছেন।
খোরশেদ আলমের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বলেন, স্বামীর অসুস্থতার কারণে বিশ্বাস করে নবাব আলীর হাতে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে পরিবারকে কিছু জানাননি।
এ বিষয়ে ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, তাঁর দেখা কাগজপত্র অনুযায়ী খোরশেদ আলমই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। নবাব আলী প্রতারণার মাধ্যমে এই পরিচয় ব্যবহার করছেন।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোরশেদ আলমের পরিবার চায়, তাঁর জীবদ্দশায় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সম্মানী ভাতা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। পাশাপাশি প্রতারক নবাব আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।