দৈনিক তালাশ ডটকমঃ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়ার পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও তৎপরতায় মাত্র ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে কালিহাতী থানা পুলিশ। তাঁর এই সফল অভিযানে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কালিহাতিবাসী তথা টাঙ্গাইল ও দেশবাসী
গত ১৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামে জামাল বাদশা (৪৫) নামক ব্যক্তির বাড়ির পেছনে টয়লেটের ট্যাংকি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে সন্দেহের বশে ঢাকনা সরিয়ে দেখা যায় একটি অজ্ঞাত লাশ। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয় কালিহাতী থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কালিহাতী থানার ওসি আবুল কালাম ভূঁইয়া, কালিহাতী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্)।প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অজ্ঞাতনামা ওই মরদেহের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ প্রযুক্তি সহায়তায় ঘাটাইল থানার নিখোঁজ ডায়েরির (জিডি নং ৬৬৯, তারিখ: ১২/৪/২৫) সূত্র ধরে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করে। মৃত ব্যক্তি হলেন আব্দুল আলীম (২০)। তার পরিবারের সহায়তায় মৃতদেহের পরিহিত পোশাক, ঘড়ি ও মানিব্যাগে থাকা মোটরসাইকেলের কাগজ ও ট্যাক্স টোকনের সূত্রে পরিচয় নিশ্চিত হয়।
পরবর্তী সময়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), সহকারী পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল), ওসি আবুল কালাম ভূঁইয়া এবং এসআই মিজানুর রহমানসহ পুলিশের এক চৌকস দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র ১৫ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী নোমান (২০), পিতা: গোলাম মোস্তফা, গ্রাম: মহিষজোড়া, থানা: কালিহাতী, জেলা: টাঙ্গাইল—কে গ্রেফতার করে।
নোমানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে নিহতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, জুতা সহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়।
কালিহাতী থানার ওসির এই দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটনের কৃতিত্বে জেলা পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশংসার ঝড় বইছে। এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও পুলিশকে জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অনেকেই।