ইসলামের দৃষ্টিতে ইফতার করানো রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তার সমপরিমাণ সওয়াব পাবে, তবে রোজাদারের সওয়াবে কোনো কমতি হবে না।দৈনিক তালাশ ডটকমঃ টাঙ্গাইল প্রতিনিধি সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাংড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে চলছে দুই শতাব্দীর প্রাচীন এক মহতী ইফতার আয়োজন। এখানে প্রতিদিন প্রায় ২৫০ জন রোজদার একত্রে ইফতার করেন, যা ১৮২৫ সাল থেকে চলে আসছে। মসজিদ কমিটির তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন গ্রামবাসীদের নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী ছয়-সাতজন ব্যক্তি ইফতারের খরচ বহন করেন, যা তাদের জন্য অসংখ্য সওয়াবের দুয়ার খুলে দেয়।(তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭) অন্য এক হাদিসে এসেছে: যে ব্যক্তি রোজাদারকে এক খেজুর বা এক ঢোক পানি বা এক ঢোক দুধ দিয়ে ইফতার করায়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (ইবনে খুজাইমা: ১৮৮৭)
এই ভিত্তিতে, বাংড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ইফতার করানো ব্যক্তিরা প্রতিদিন ২৫০ জন রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করছেন। অর্থাৎ, ২৫০টি রোজার সওয়াব বা প্রায় ২১ বছরের সওয়াব অর্জন করেন।ধনী-গরিব নির্বিশেষে ঐক্যের পরিবেশ
এই ইফতার আয়োজনে ধনী-গরিব, শিশু-বৃদ্ধ সবাই একত্রে বসে ইফতার করেন, যা সামাজিক ঐক্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ জামাতে আদায় করে সবাই আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। একটি যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত
দুই শতাব্দী ধরে চলে আসা এই ইফতার আয়োজন ইসলামি ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহমর্মিতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। বর্তমান সময়ে যেখানে সমাজে বিভেদ বেড়েই চলেছে, সেখানে এই ধরনের উদ্যোগ মানুষের মধ্যে ভালোবাসা ও ঐক্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উপসংহার যারা এই ইফতার আয়োজনের মাধ্যমে রোজাদারদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন, তারা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবান। ইসলামের আলোকে এই প্রচেষ্টা যেন অব্যাহত থাকে এবং আরও সম্প্রসারিত হয়, সেই দোয়া করি। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে এমন নেক কাজে অংশগ্রহণের তাওফিক দান করেন। আমিন!