দৈনিক তালাশ ডটকমঃ সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সাংবাদিক সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজের মরহুম পিতা সৈয়দ রকিবুল হোসেন জুনু মিয়া ও মরহুমা মাতা সৈয়দা রকিবা খাতুনের স্মরণসভা এবং তাঁদের নয় ভাইবোনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার বাদ মাগরিব বাংড়া মরহুমদের নিজ বাসভবনে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবারের বড় ভাই সৈয়দ রফিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ ভাই হাফেজ সৈয়দ নুরুন্নবী হোসেন রজত। অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্যরা স্মৃতিচারণ করেন এবং মরহুমদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।
বক্তব্য রাখেন পরিবারের কনিষ্ঠ বোন সৈয়দা মঞ্জুরা খাতুন কচি, সৈয়দা মুরশিদা খাতুন লুচি, সৈয়দা মরিয়ম খাতুন ও বড় বোন সৈয়দা জুলিয়া খাতুন লায়লা। ভাইদের মধ্যে বক্তব্য দেন সৈয়দ নুরুন্নবী হোসেন রজত, সাংবাদিক সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ, সৈয়দ মুজিবুল আলম সজীব, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ শফিকুল ইসলাম ও সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। এছাড়া, পরিবারের জামাতা মো: খাইরুল ইসলাম ও শেখ আসাদুজ্জামানও তাঁদের অভিমত ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, আমাদের পিতা-মাতা অত্যন্ত ভদ্র ও সদালাপী ছিলেন। তাঁরা আমাদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন, ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দিয়েছেন এবং মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে শিখিয়েছেন। তাঁদের এই শিক্ষাগুলো আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করছে।
এশার নামাজের পর কোরআন ও হাদিসের আলোকে ওয়াজ মাহফিলে আলোচনা করেন পরিবারের দুই বড় বোন সৈয়দা জুলিয়া খাতুন লায়লা ছেলে অর্থাৎ সাংবাদিকের ভাগিনা চিকিৎসক সদস্যদ্বয় দু’জনই এমবিবিএস— ডা. জহিরুল ইসলাম ললাট ও ডা. মুহাম্মদ জিয়াউল হক লিখন। মাহফিল শেষে ভাবগম্ভীর পরিবেশে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন সাংবাদিক সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ। পরিশেষে, তবারক বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এই স্মরণসভা ও পুনর্মিলনী শুধুমাত্র পারিবারিক মিলনের উপলক্ষ ছিল না, বরং এটি পারস্পরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও দোয়ার এক অনন্য আবহ তৈরি করেছিল। মরহুমদের স্মৃতিচারণ এবং তাঁদের জন্য দোয়ার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ইসলামী শিক্ষার আলোকে, মানুষের মৃত্যু হলে তার সকল আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি আমল তার জন্য চলমান থাকে— সদকায়ে জারিয়া, উপকারী জ্ঞান এবং নেক সন্তানের দোয়া। এ স্মরণসভা ও দোয়ার মাধ্যমে মরহুমদের জন্য এই চিরস্থায়ী আমল অব্যাহত রাখা হলো।
এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন ভাগিনা ডাক্তার জিয়াউল হক লিখনের সহধর্মিণী, যিনি একজন এমবিবিএস ডাক্তার, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম শাওন, সৈয়দ আব্দুল্লাহ, সৈয়দ আব্দুর রহমান, সৈয়দা শারমিন আক্তার নিশু, সৈয়দা সোহেলী আক্তার মিশু, সাম্মী আক্তার, সৈয়দ সাব্বির ও তার কোলের আদরের ছেলে, শেখ ওমর ফারুক, মো. মনির হোসেন, ওসমান, জামিলা, লাবিবা, ছোঁয়া, সোহা, টুম্পা, মেহজাবিন ও মেহজাবীনের ছোট ভাই। এছাড়াও, গ্রামের আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা এই মহতী আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।