দৈনিক তালাশ.কমঃ উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ: নওগাঁয় ইটভাটা নির্মাণের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়ম-নীতি। নিজেদের খেয়ালখুশি মতোই আবাসিক এলাকায় ভাটা গড়ে তোলছে যে কেউ। জেলায় ২০০টি ইটভাটা ব্যবসা করলেও বৈধ কাগজ রয়েছে মাত্র ৭টির। এসব ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোর ফলে ব্যাপক পরিবেশ দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা। সবুজ অরণ্যের মাঝেই গড়ে তোলা এসব ইটভাটা জেলার মান্দা, নিয়ামতপুর, শ্রীমন্তপুর ও ভাবিচা ইউনিয়নের চকসিতা, বাঁধ মালঞ্চি এবং ভাতকুণ্ডু এলাকায়। অনাবাদি ও অনাবাসিক এলাকায় ভাটা গড়ে তোলার নিয়ম থাকলেও উল্টো চিত্র উল্লিখিত এলাকায়। আবাদি জমি ও আবাসিক এলাকায় ইটভাটা গড়ে তোলার পর ছাড়পত্র নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চলছে দৌড়ঝাঁপ। জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নওগাঁর ১১টি উপজেলায় স্থাপিত দুই শতাধিক ইটভাটার মধ্যে মাত্র ৭টির বৈধ কাগজ রয়েছে। এসব ভাটায় কাঠ পোড়ানো শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভাটার ধোঁয়ায় দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামসুল ওয়াদুদ বলেন, ‘এই অবৈধ ইটভাটাগুলোর কারণে কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে নেয়া হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে কৃষির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। জমির উর্বরতা কমে যাবে, ফলে ফসলের উৎপাদন বিপর্যস্ত হবে।’ অবৈধ ইটভাটার এমন কর্মযজ্ঞ বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শক্ত ভূমিকা রাখার কথা, কিন্তু অবলীলায় কথার বাণীতে দায় এড়ানোর চেষ্টা পরিবেশ অধিতপ্তরের উপ পরিচালক মো. মোকবুর হোসেনের। আর ব্যবসায়ীরা দেখাচ্ছেন নানা যুক্তি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৫ মাস ধরে এসব ভাটায় ইট তৈরির কাজ চলে, যা তাদের জীবনে নানা সমস্যা সৃষ্টি করছে। নওগাঁ জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, প্রতিবছর অন্তত আড়াই হাজার হেক্টর আবাদি জমি ইটভাটার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি ভুক্তভোগীদের।
নওগাঁ #