দৈনিক তালাশ.কমঃস্টাফ রিপোর্টার:জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার আহমেদ পলাশ ও তার ক্যাডার বাহিনীর বিরুদ্ধে মৎস্য খামার জোরপূর্বক জবর দখল, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধরের চেষ্টা এবং মাছ বিক্রির নগদ টাকা, মূল্যবান আসবাবপত্র লুটপাট ও চুরির অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পৃুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারের নিকট সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরের পক্ষে খামারের কেয়ারটেকার সাইফুল ইসলাম মৃদুল বাদী হয়ে এ লিখিত অভিযোগটি প্রদান করেন।
লিখিত অভিযোগের বিবরনে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম মৃদুল (৩২), পিতা-কবির হোসেন বাবুল, সাং-ফতুল্লা রেল স্টেশন ব্যাংক কলোনী, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। বিবাদী ১। মাসুদ (৩৮), পিতা-আলাউদ্দিন, সাং- আলীগঞ্জ জং বাড়ী, ২। সোহাগ (৪২), ৩। শাখাওয়াত (৫২), ৪। সুমন (৪৫), ৫। স্মরন (৩২), সর্ব পিতা-মৃত: হাজী আব্দুল বারী চেয়ারম্যান, ৬। মুকুল (৩৬), পিতা-মৃত: গিয়াস উদ্দিন, সাং-আলীগঞ্জ, ৭। রুবেল (৩২), পিতা- আঃ আজিজ, ৮। নুরে আলম (২৭) পিতা-অজ্ঞাত, ৯। আজমীর (২৮), পিতা- জহির, ১০। সানি (২৮), পিতা-লেবুল্লা, ১১। শাওন (২৬), পিতা-অজ্ঞাত, মাতা-আকলিমা বেগম, ১২। সুজন, পিতা- নূরু, ১৩। রিয়াজ, পিতা- সফরদ্দিন, উভয় সাং- আলীগঞ্জ, থানা- ফতুল্লা, সহ সর্ব সাং-আলীগঞ্জ, থানা- ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ হইতে পাগলা মেরী এন্ডারসন এর পূর্ব পার্শ্বে জেলা পরিষদের ১.১৪ একর এবং সড়ক ও জনপথ হইতে ২২.৫০ একর সম্পত্তি ফাতেমা মনির লিজ নিয়া বর্নিত সম্পত্তিতে পুকুর খনন করে মৎস্য খামার স্থাপন করিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ মৎস্য ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। আমি উল্লেখিত মৎস্য খামারে কেয়ারটেকার হিসেবে নিয়োজিত আছি। উল্লেখিত বিবাদীগন বিভিন্ন সময় উক্ত মৎস্য খামারটি জোর পূর্বক দখল করার পায়তরায় লিপ্ত থাকিয়া বিভিন্ন সময় মৎস্য খামারে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসৃষ্টি করিয়া আসিতেছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় গত-১৬/১২/২০২৪ তারিখ বেলা অনুমানিক ১১টার সময় উল্লেখিত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন প্রত্যেকে হাতে রাম দা, ছোরা, চাকু, লোহার রড, জিআই পাইপ ও হকিষ্টিক সহ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সুসজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে অনাধিকারে বর্নিত মৎস্য খামারের ভিতর প্রবেশ করিয়া মৎস্য খামার জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। এসময় বিবাদীদের বাঁধা নিষেধ করিলে বিবাদীরা আমাকে মারধর করার জন্য উদ্যত হয়। এক পর্যায়ে বিবাদীরা মৎস্য খামারের ভিতর একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করতঃ তারা মৎস্য খামারে স্থাপনকৃত ২০টি সিসি ক্যামেরা, মূল্য অনুমান ৩৫,০০০/-টাকা, অনুমান ৪০,০০০/- টাকার বৈদ্যুতিক তার, একটি স্টিলের নৌকা, মূল্য অনুমান ৪০,০০০/-টাকা সহ মৎস্য খামারের অফিস রুমের তালা ভাঙ্গিয়া অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে রক্ষিত মাছ বিক্রয়ের নগদ ২,৫০,০০০/- টাকা চুরি করিয়া নেয়। এঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি আমার বর্নিত মৎস্য খামারে গিয়ে বিবাদীদেরকে বাঁধা দিতে গেলে বিবাদীরা আমাকে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, আমার মৎস্য খামার যে কোন মূল্যে জবর দখল করিয়া নিবে। আমি সহ আমার লোকজন বাঁধা দিতে গেলে বিবাদীরা আমাদেরকে খুন জখম করিবে মর্মে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আলীগঞ্জে সদর উপজেলার জনপ্রিয় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির দীর্ঘদিন যাবৎ সদর উপজেলার পাগলা এলাকায় জেলা পরিষদের ১.১৪ একর এবং সড়ক ও জনপথ হইতে ২২.৫০ একর সম্পত্তি লিজ নিয়ে বর্নিত সম্পত্তিতে পুকুর খনন করে মৎস্য খামার পরিচালনা করে আসছিলেন। তিনি এ খামারের লভ্যাংশ থেকে এলাকার বিভিন্ন অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের সাহায্য ও সহোযোগিতা করতেন।
সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির জানান, এবিষয়ে ফতুল্লা থানায় আমি অভিযোগ দায়ের করলে উক্ত সংবাদ পেয়ে কাউসার আহমেদ পলাশের ক্যাডার বাহিনীর উপরোক্ত বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়ে আমার মাছের খামারে অনধিকার প্রবেশ করে মাছের খামারের অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ করে এবং আমার ম্যানেজার ও কেয়ারটেকারকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করতে থাকাবস্থায় আমাকে এই মর্মে হুমকী প্রদান করে যে, উক্ত বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোর মাছের খামারের লোকজন ও তোদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবো। পরে এবিষয়ে আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা পৃুলিশ সুপার বরাবর সুষ্ঠ ও ন্যায় বিচারের আশায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।