দৈনিক তালাশ.কমঃ সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলাধীন সহদেবপুর উত্তর পাড়ায় জুরান মাদবরের বাড়িতে সেন্টু মিয়ার উদ্যোগে একটি বিশাল ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বাদ আসর থেকে শুরু হয়ে রাত পৌনে বারোটা পর্যন্ত এই মাহফিল পরিচালিত হয়।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সহদেবপুর উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ইসমাইল হোসেন সিরাজী। প্রধান বক্তা হিসেবে ইসলামী জ্ঞান ও শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন সহদেবপুর দারুস সুন্নত দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা মোঃ শফিকুল ইসলাম।
দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহদেবপুর দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা দেলোয়ার হোসেন। তৃতীয় বক্তা মাওলানা মুফতি মোস্তফা কামাল (ইমাম, সহদেবপুর দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ) ইসলামে শিষ্টাচারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। চতুর্থ বক্তা হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন (ইমাম, মুলিয়া নতুন জামে মসজিদ) মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ইসলামি শিক্ষা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। পঞ্চম বক্তা হাফেজ মেহেদী হাসান (মুয়াজ্জিন, মন্দুইল জামে মসজিদ) বয়ানে ইসলামের শান্তির বার্তা তুলে ধরেন।
মাহফিলে উপস্থিত থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে বয়ান শুনেছেন সাবেক মেম্বার আজমত আলী, মোঃ বাদশা মিয়া, মোঃ চোমর আলী, মুলিয়া থেকে আগত মোহাম্মদ বাদশাসহ অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লী এবং পর্দার আড়ালে বহু মা-বোন।
ওয়াজ মাহফিলের ফজিলত:
ওয়াজ মাহফিল হলো মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ, যেখানে আলেমদের বয়ানের মাধ্যমে ধর্মীয় জ্ঞান লাভের পাশাপাশি ইসলামের আদর্শিক জীবনযাপন সম্পর্কে শিক্ষা নেওয়া যায়। এ ধরনের মাহফিল মুসলমানদের আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং নৈতিকতা চর্চায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, এটি সমাজে শান্তি, সৌহার্দ্য এবং ইসলামী ঐক্য গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
ওয়াজ মাহফিলের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে দাওয়াত দেয়, সে এত বড় পুরস্কার পাবে, যা তার দ্বারা ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি বা নেক আমলকারী ব্যক্তির পুণ্যের সমান।” (মুসলিম শরিফ)।
এই ওয়াজ মাহফিল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ইসলামি চেতনা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।