দৈনিক তালাশ.কমঃ দেওভোগ পাক্কারোডে মহসীনের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে নিজ বোনের স্বামী কর্তৃক মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতমধ্যে মহসীনকে মেরে রক্তাক্ত করে আহত করেছে বোন জামাতা আরাফাত ও তার লোকজন। এছাড়াও সম্পত্তি ভোগ করতে না দিলে প্রাননাশের হুমকী দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীর দাবি। এ নিয়ে ৪ ডিসেম্বর বুধবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, বিবাদী ১। আরাফাত (২৬), পিতা-বিল্লাল হোসেন, ২। শিউলী বেগম (৫৫), পিতা-মৃত মনির হোসেন, ৩। বিল্লাল হোসেন (৬০), পিতা-রশিদ পাটোয়ারী, সবার ঠিকানা- ১০৯, দেওভোগ পাক্কা রোড। ২নং বিবাদী বিয়ের পর থেকে তার স্বামী সন্তান নিয়ে আমাদের বাড়িতেই বসবাস করে। উপরোক্ত বিবাদীগণ মিলিত হইয়া তার বিয়ের পর থেকে আমাদের উপর নানান ভাবে অত্যাচার করে আসছে। ১নং বিবাদী প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর থেকে আমাকে হুমকি ধমকি সহ একাধীক বার মারধরও করে। উপরোক্ত বিবাদীগণ প্রতিনিয়ত আমার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়া বিভিন্ন ঝামেলা করে।
উক্ত বিষয়ে একাধীকবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পারিবারিক ভাবে বিচার শালিস হলে বিবাদীগণ কাহারো কোন তোয়াক্কা করে না। বিবাদীগণ উশৃঙ্খল প্রকৃতরি লোক হওয়া স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাদের নিয়ে কিছু বলতে চায় না। বিবাদীগণ আমার উপর একাধীকবার হামলা করে আমাকে মারধর করেছে। উক্ত বিষয়ে একাধীকবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করিয়াছি। বিবাদীগণ প্রতিনিয়ত আমার ঘরে আসা যাওয়ার পথে আমাকে নানান বাজে মন্তব্য করিয়া উত্তক্ত করে। উক্ত বিষয়ে কিছু বলতে গেলে ১নং বিবাদী ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। বিবাদীগণ আমার পৈত্রিক সম্পত্তি হইতে আমাকে তাড়িয়ে দিয়ে সকল সম্পত্তি একা ভোগ করার পায়তারায় লিপ্ত হইয়া আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনদের উপর নির্যাতন করে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ০৪/১২/২০২৪ইং তারিখ রাত অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় অত্র থানাধীন দেওভোগ পাক্কা রোডস্থ আমি আমার বাড়িতে যাওয়ার পথে ১নং বিবাদী বাড়ির সামনে থেকে অতর্কিত ভাবে আমার উপর হামলা করে আমাকে এলোপাথারী কিল ঘুষি লাখী মেরে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক নিলা ফুলা জখম করে। বিবাদীর মারধরে আমি মাটিতে লুটিয়ে পরলে ১নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো ছুড়ি দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় এলোপাথারী আঘাত করে আমার মাথায় গুরুতর কাটা জখম করে।
পরবর্তীতে আমার আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসিলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। আশেপাশের লোকজনদের ছুটে আসতে দেখে ১নং বিবাদী আমাকে পরবর্তীতে যে কোন মুহুর্তে হত্যা করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে দৌড়ে উক্ত স্থান হইতে পালিয়ে যায় এবং আমি আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। চিকিৎসাধীন সময় আমার মাথায় প্রায় ১২ টি শিলির প্রয়োজন হয়। বিবাদীগণ অত্যান্ত খারাপ প্রকৃতির লোক, তারা যে কোন সময় আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনদের হত্যা করিবে বলে আশঙ্কা করিতেছি।