প্রেসক্লাবের সভাপতির জেলা ছাত্র দলের নামে যে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

দৈনিক তালাশ.কমঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ও রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান বলেন হলুদিয়া পাখি গাজীর প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেছেন শে নাকি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ভিআইপিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন সে যে মিথ্যাবাদী তার একটা প্রমাণ হলুদিয়া সাংবাদিকরা যে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ছাত্রদলের নাম খারাপ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি

রূপগঞ্জে সাংবাদিক লীগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই সাংবাদিক নামধারী সাংঘাতিকরা- তিলকে তাল বানিয়ে বিএনপিকে সন্ত্রাসী বানানোর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
তাদেরকে সহযোগিতা করছে, বিএনপির’ই কিছু সুবিধাভোগী নেতা। বিএনপির কতিপয় দায়িত্বশীল নেতাকর্মী গুলো, গ্রুপ নিয়ে ব্যস্ত, কে কার রাজনীতি করে, কে দিপু ভূইয়া, কে কাজী মনির এই পার্সেপশান করে চলেছে। অথচ আজ যে সাংবাদিক গুলো ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে, তারা বিগত স্বৈরাচারী, ফ্যসিস্ট শেখ হাসিনার ও গাজীর চামচামি করে বিএনপির নেতাকর্মীদের নানানভাবে হয়রানি করেছে। এখন সময় এসেছে ভেদাভেদ ভুলে কে ভূইয়া আর কে কাজী তা না দেখে বিএনপির দুর্দিনের এই পরিক্ষিত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের পাশে দাড়ানো, প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ্যে এনে সাংবাদিক নামধারী সাংঘাতিকদের মুখোশ উন্মোচন করা। ৫ই আগষ্ট পর্যন্ত এই সাংবাদিক চক্র স্বৈরাচারের দোসর হয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে সক্রিয় ছিল।
২০০১ থেকে ২০০৬ চারদলীয় বিএনপি/জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে, আলিম সাহেব বিএনপির সাংবাদিক নেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়েছেন। আবার সেই মনুষটিই গাজীর সারে ১৬বছরের শাসনামলে আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক হিসেবে রূপগঞ্জ চষে বেড়িয়েছেন।

রং মিস্ত্রি, আন্ডার মেট্রিকপাশ লোকজন দিয়ে সাংবাদিক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। আর এই সকল সাংবাদিক নামধারী সাংঘাতিক গুলো- আত্মহত্যা করা, ছেলে/মেয়ের বিয়ে দেওয়া, দুই বাড়ির ঝগড়া, মাদক ব্যবসায়ী প্রভৃতি জায়গা থেকে ধান্দাবাজি, চান্দাবাজি করতো। মানুষকে হয়রানি করা ছিল তাদের নিত্যদিনকার ঘটনা। যারা গাউছিয়াতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে-
এরা প্রত্যেকে গাজীর হয়ে, রূপগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের নানানভাবে হেনস্তা করেছে। এখন কিছু সাংবাদিক আবার বলার চেষ্টা করছে- তারা সাংবাদিক আর সাংবাদিকতার স্বার্থে তাদেরকে সরকারি দলের এমপিদের কাছে যেতে হয়। বিনীতভাবে বলতে চাই- সরকারি দলের এমপির কাছে যাওয়া আর তাদেরকে নির্লজ্জ সমর্থন যোগানো এটি কেমন সাংবাদিকতা। রূপগঞ্জে বিগত স্বৈরাচারের শাসনামলে এই সাংবাদিক চক্র সাংবাদিক দুর্বৃত্তায়ন চালু করেছিল,
তারা সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড গায়ে লাগিয়ে এহেন কোন অপরাধ নাই, যা তারা করেনি। আমি সাংবাদিক শফিকের আহত হওয়ার ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম- সাংবাদিক চক্ররা যে বলছে তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য। মূল ঘটনা হচ্ছে- সাংবাদিক শফিকের প্রতিবেশী এক ভাতিজা সাওঘাট পূবের বাড়ি নিবাসী কালাই মিয়ার ছেলে আলামিন ও হাসনাত কাজীর বড় ছেলের সাথে, শফিকের বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার মোবাইল নেয়া জনিত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে, শফিকের সাথে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে মারামারির ঘটনা ঘটে। শফিকের ভাড়াটিয়াকে আলামিন চর মারে- এর প্রেক্ষিতে শফিক, আলামিন ও অন্যান্ন কিছু প্রতিবেশী বিচার ও মীমাংসার জন্য একত্রিত হয়ে আলোচনায় বসে। কিন্তু সেখানেই কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষ বাকবিতন্ডায়, হাতাহাতি ও মারামারিতে জরায়। সেখানে সাংবাদিক শফিক গুরুতর আহত হন। নিঃসন্দেহে শফিকের উপর চালানো হামলা নিন্দনীয়। কিন্তু পারিবারিক এলাকাভিত্তিক একটি ঝগড়াকে আওয়ামী সাংবাদিক চক্র বড় একটি ইস্যু করে তুলেছে। এটিকে ছাত্রদলের সন্ত্রাসী হামলা বলে স্বৈরাচারের দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আমি এও জেনেছি, কালাই মিয়ার স্ত্রী সাংবাদিক শফিকের কাছে মীমাংসার জন্য গিয়েছিলেন কিন্তু শফিক সাংবাদিক চক্রের আশ্বাসে এবং প্রতিপক্ষকে হেনস্তা করার জন্য মীমাংসায় সম্মত হয়নি। দিন শেষে এরা একই বাড়ির একই বংসের লোক, বাট মজা এবং সুবিধা নিচ্ছে সুবিধাভোগী সাংবাদিক চক্র। এর ফলে মামলা হওয়া পরিবার গুলো ভয়াবহ রকম হয়রানির মধ্যে পরেছে। এদের পাশে এখন আর কেউ নেই, কোন মিডিয়া কিংবা কোন রাজনৈতিক নেতা কেউ নেই। অবশ্য সাংবাদিক চক্র এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তাদের পাশে না থাকাটাই স্বাভাবিক। এমনটা হওয়া উচিৎ নয়। যেহেতু বিএনপির নাম জড়ানো হচ্ছে তাই বিএনপির নেতাকর্মীদের উচিত প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *